ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে আসা রুবেলকে চোর সন্দেহে হত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে আসা রুবেলকে চোর সন্দেহে হত্যা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নানকে আটক করেছে ডিবি

ঢাকা: লালমনিরহাট সদর এলাকা থেকে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে আসেন রুবেল মিয়া। সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশ থেকে চোর সন্দেহে তাকে আটক করেন ভবনের দারোয়ানরা।

চোর সন্দেহে নির্যাতন ও একপর্যায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয় রুবেলকে।

গত ৫ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন রুবেল মিয়া। এরপর ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনের ৫ম তলার একটি কক্ষে তার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে দারুস সালাম থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্তে নেমে গাজীপুরের শ্রীপুর এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নান নামে ওই ভবনের দুই দারোয়ানকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি সকাল ১০টার পর থেকে লালমনিরহাট সদর এলাকা থেকে নিখোঁজ ছিলেন রুবেল মিয়া। গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় দারুস সালাম থানার সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের পঞ্চম তলার ৮১৬ নং কক্ষ থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের চাচা ১৪ জানুয়ারি দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করে ডিবি মিরপুর জোনাল টিম।

তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে রোববার আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার জানান, গত ৯ জানয়ারি বিকেল আনুমানিক ৪টায় রুবেলকে সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে চোর সন্দেহে আটক করেন সেখানকার দারোয়ানরা। ইতোপূর্বে চুরি যাওয়া মোবাইল ও টাকা উদ্ধারের জন্য রুবেল মিয়াকে তারা রশি দিয়ে বাঁধেন। এরপর একই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। এর ফলে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন। ভয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নান।

ডিবি মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, নিহত রুবেল চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। তার জামার পকেটে একটি প্রেসক্রিপশনও আমরা পেয়েছি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, এটা পরিকল্পিত মার্ডার নয়। তবুও ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আরও জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।