ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শারীরিক সম্পর্কে ব্যর্থ হয়ে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
শারীরিক সম্পর্কে ব্যর্থ হয়ে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যা খুনি আনোয়ার হোসেন

ঢাকা: জামালপুরের মেলান্দহে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় আনোয়ার হোসেন (৩৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডি জানায়, অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হয়ে ধারালো বটি দিয়ে স্বপ্না এবং তার মা জয়ফুল বেগমকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় আনোয়ার।

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এসএসপি মুক্তা ধর।

তিনি জানান, গত ১ জানুয়ারি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় নিজ ঘরের পৃথক কক্ষ থেকে জয়ফুল বেগম (৫০) ও তার মেয়ে আকলিমা আক্তার স্বপ্নার (৩২) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জয়ফুল বেগমের প্রবাসী দুই ছেলে হাসান চৌধুরী ও খালেক চৌধুরী ওমান থেকে ফোন করে মা-বোনকে না পেয়ে মামা মানিক মিয়াকে তাদের বাড়িতে পাঠান। মামা তাদের বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলে দুই জনের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।

এ ঘটনায় মানিক মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় আনোয়ার হোসেন নামে একজনের যোগসূত্র পায় সিআইডি। পরে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর পর সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এসএসপি মুক্তা ধরসহ অন্যরা

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে ভিকটিম স্বপ্নার সঙ্গে আনোয়ারের পরিচয় এবং সেই সূত্রে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে আনোয়ার হোসেন শারীরিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করলেও স্বপ্নার অসম্মতির কারণে তা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, হত্যার প্রায় ২০-২৫ দিন আগে থেকে স্বপ্নার বড় ভাই জহুরুল চৌধুরীর বাড়িতে ভবন নির্মাণের কাজ করে আসছিলেন আনোয়ার। ঘটনার দিন আনোয়ারকে ডেকে কাজ শেষ করে তাদের জন্য মাথা ব্যথার ওষুধ নিয়ে আসতে বলেন স্বপ্না। সন্ধ্যার পর স্বপ্নাদের বাড়ি এসে আনোয়ার তার সঙ্গে গল্প করতে থাকেন। একপর্যায়ে স্বপ্না ও তার মা রাতের খাবার খেয়ে ওষুধ চান। তখন অসৎ উদ্দেশ্যে আনা ঘুমের ওষুধকে মাথা ব্যথার ওষুধ বলে তাদের কৌশলে ৩টি করে ট্যাবলেট খাইয়ে দেন আনোয়ার।

পরে স্বপ্না ও তার মা ঘুমিয়ে পড়লে আনোয়ার অচেতন স্বপ্নাকে কোলে করে পাশের রুমে নিয়ে যায়। তখন স্বপ্না জেগে গেলে আনোয়ার জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় স্বপ্না। এতে আনোয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে স্বপ্না এবং তার মা জয়ফুল বেগমকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

 

>>>আরও পড়ুন: মেলান্দহে মা-মেয়ের গলাকাটা মরদেহ

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
পিএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।