ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাণিজ্য মেলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন 

জি এম মুজিবুর, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
বাণিজ্য মেলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন  বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার

ঢাকা: এক বছর বিরতি দিয়ে শনিবার (১ জানুয়ারি ২০২২) রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন ঠিকানায় শুরু হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হয়নি এই প্রদর্শনী।

শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত এই মেলায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

এদিকে মেলা আয়োজেনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়েছে। এবার মেলা প্রাঙ্গণে ভেতর ও বাইরে ছোট বড় মিলে সর্বমোট ২২৫টি প্যাভিলন ও ষ্টল থাকছে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আমির খসরু বাংলানিউজকে জানান, নতুন ঠিকানায় ১ জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সব দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে মাসব্যাপী এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা নির্বিঘ্নে আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সার্বিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।  

তিনি জানান, ৯শ’ এরও বেশি পুলিশ মেলা প্রাঙ্গণে মোতায়েন থাকবে। ট্রাফিক থাকবে দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধার্থে। র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও আনসার ছাড়াও সাদা পোশাকে সব বাহিনীর লোক এখানে কাজ করবেন।

মো. আমির খসরু আরও জানান, নিরাপত্তার জন্য পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে যার যার দায়িত্ব বুঝে পেলে আমরা আগামী ১ তারিখ থেকেই কার্যক্রম শুরু করব।

প্রতিবছর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে স্থায়ী ঠিকানায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

যেভাবে যাবেন: রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই মেলা প্রাঙ্গনে পৌঁছানো যাবে। কুড়িল-বিশ্বরোড ফ্লাইওভার থেকে নামলেই বালি ব্রিজ পর্যন্ত সুন্দর মসৃণ রাস্তা, একটু সামনে গেলেই রাস্তা প্রশস্তকরণ, বড় বড় কালভার্ট ও ব্রিজের উন্নয়ন কাজের কারণে সড়কের কিছু কিছু অংশ খারাপ থাকলেও মেলা প্রাঙ্গণে যেতে তেমন বড় ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হবে না। এছাড়া যারা নিজস্ব পরিবহনে মেলায় যাবেন তাদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন মেলা কর্তৃপক্ষ।

ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ঢাকা জোন-৩ এর কর্মকর্তা মো. শহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার অগ্নি নির্বাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা ও ফায়ারম্যান মিলে ৩০ জন ২৪ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করবেন। অগ্নি নির্বাপনের জন্য যা যা করা দরকার আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আমরা আমাদের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকব।

ব্রাদার্স ফার্নিচারের ডিজাইনার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় ৯০ ভাগ শেষ। ১ জানুয়ারি থেকেই মালামাল উঠাতে পারব। এবার যদিও প্যাভিলিয়ন ছোট তার জন্য কাস্টমারদের মনিটরের মাধ্যমে আমাদের প্রোডাক্ট দেখাতে হবে। প্যাভিলিয়ন ছোট হওয়ার কারণে মালিকের খরচ কমেছে, কিন্তু অন্যান্যবারের মতো বেচা-কেনা কতটুকু করতে পারব তা বলা যাচ্ছে না।

ইপিবির সচিব ও মেলার পরিচালক মোহাম্মদ ইফতেকার আহম্মদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এবার নতুন স্থানে মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও  ৩১ তারিখ রাতের মধ্যেই আমাদের প্যাভিলিয়নের সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরও যদি টুকটাক কোনো কাজ থেকে যায় সেটা পরে দুই-একদিনেই শেষ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
জিএমএম/এনএটি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।