ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পঞ্চগড়ে আদিবাসীসহ ১১০০ হতদরিদ্র পেল বসুন্ধরার শীতবস্ত্র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
পঞ্চগড়ে আদিবাসীসহ ১১০০ হতদরিদ্র পেল বসুন্ধরার শীতবস্ত্র

পঞ্চগড়: বসুন্ধরা গ্ৰুপের সহযোগিতায় পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার আদিবাসীসহ মোট ১১০০ দরিদ্র মানুষের হাতে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে শুভসংঘের সদস্যরা।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বালাভির আদিবাসী পল্লীতে ২০০ আদিবাসীর হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোলেমান আলী শীতার্তদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন।  

এ সময় বোদা প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম, শুভসংঘের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব, সহসভাপতি হৃদয় চন্দ্র সিংহ, সহ-সভাপতি ইমরান নাজির, সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম আলিফ, সদস্য নয়ন খান উপস্থিত ছিলেন।  

আদিবাসী বৃদ্ধা মঙ্গলী মুরমু বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্ৰুপ ও শুভসংঘের এই ভালোবাসার কোন প্রতিদান হয় না। সৃষ্টিকর্তা তাদের মঙ্গল করুক। ’
 
এদিকে সকালে দেবীগঞ্জ পাবলিক ক্লাব চত্বরে ২০০ জন ও দেবীগঞ্জ উপজেলার খোঁচাবাড়ি ঢাকাইয়াপাড়া মসজিদ চত্বরে আরও ২০০ জন এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলা ও বোদা উপজেলার চারটি ভেন্যুতে ৫০০ জন দরিদ্র শীতার্তকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পথচারীদের শীতবস্ত্র তুলে দেন শুভসংঘের সদস্যরা।   

শুভসংঘ পঞ্চগড়ের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব বলেন, শুভ কাজে সবার পাশের থাকায় অঙ্গীকার নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এবার শীতে পঞ্চগড়ের কষ্টে থাকা খেটে খাওয়া ২ হাজার মানুষের হাতে আমরা বসুন্ধরা গ্ৰুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের সহযোগিতায় শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা খুঁজে খুঁজে প্রকৃত দরিদ্র শীতার্তদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিয়েছি। এতগুলো মানুষকে শীতের উষ্ণতা দিতে পেরে আমরা অনেক খুশি। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি এটাই আমাদের বড় সার্থকতা।

দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি যখন মানুষের যেটা প্রয়োজন শুভসংঘ সেটা নিয়েই হাজির হয়। পঞ্চগড়ে পৌষের শীত চলছে। এই শীতে শীতবস্ত্র দেয়াটা জরুরি ছিল। শুভসংঘ ও বসুন্ধরা গ্ৰুপ সেটিই করেছে।
 
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোলেমান আলী বলেন, আমরা সরকারিভাবে যে বরাদ্দ পাই তা বিরাট অঙ্কের দরিদ্র শীতার্তদের তুলনায় কম। তাই সরকারের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্ৰুপ ও শুভসংঘের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এলে পঞ্চগড়ের অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের কষ্ট অনেকটাই কমে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।