ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গোপালগঞ্জে মাদরাসাছাত্রকে পিটিয়ে জখম, শিক্ষক গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
গোপালগঞ্জে মাদরাসাছাত্রকে পিটিয়ে জখম, শিক্ষক গ্রেফতার

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে জোবায়ের শেখ (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছেন এক মাদরাসা শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মঈনুল ইসলামকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের গোবরা ইদারায়েত ইসলামীয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই শিক্ষক বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গ্রিসনগর গ্রামের মাহমুদ শেখের ছেলে। আহত ওই শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের মো. শহর আলী শেখের ছেলে। আহত শিক্ষার্থী জোবায়ের শেখকে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আহত ওই শিক্ষার্থী জোবায়ের শেখ গোবরা ইদারায়েত ইসলামীয়া মাদরাসায় হেফজা পড়ে। শুক্রবার দুপুরে জোবায়ের মাদরাসা থেকে ছুটি না বলে বাড়িতে যায়। পরে সন্ধ্যার আগে সে আবার মাদরাসায় ফিরে আসে। সন্ধ্যায় ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মঈনুল ইসলাম না বলে বাড়িতে যাওয়ার অপরাধে জোবায়েরকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে সে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। ওই ছাত্রের পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. শহর আলী শেখ গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই ওই মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষক হাফেজ মঈনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

আহত ওই শিক্ষার্থী জোবায়ের শেখ বলেন, শুক্রবার কাউকে না বলে আমি বাড়িতে যাই। পরে মাদরাসায় ফিরে আসি। সন্ধ্যায় ওই শিক্ষক আমাকে বেত দিয়ে মারধর করে। পরে পালিয়ে এসে আমি আমার বাবাকে বিষয়টি জানাই।

আহত ওই শিক্ষার্থীর বাবা শহর আলী শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে এসে আমাদের সব কিছু জানায়। পরে আমি মাদরাসায় গিয়ে বিষয়টি শুনতে যাই। কিন্তু কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় আমি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমার ছেলেকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে আর কোনো শিক্ষার্থীর ওপর এমন ঘটনা না ঘটে।  

এ বিষয়ে গোবরা ইদারায়েত ইসলামীয়া মাদরাসার কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।