ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কানাডায় ঢুকতে পারেননি মুরাদ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
কানাডায় ঢুকতে পারেননি মুরাদ

ঢাকা: সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডায় ঢুকতে পারেননি। তাকে কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি (সিবিএসএ) সেদেশে ঢুকতে দেয়নি।

বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বাংলা প্রেস এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সিবিএসএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

কানাডার স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ডা. মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়।

টরন্টো প্রবাসী বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি জানান, আমিরাতের একটি ফ্লাইটে টরন্টো পৌঁছান ডা. মুরাদ। এরপর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন এবং সিবিএসএ’র কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। এ সময় বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া তার কানাডায় ঢোকা নিয়ে সেদেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিক আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন বলে জানানো হয়।

এর আগে ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশ্য তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই ডা. মুরাদের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপের ওই অডিওতে ডা. মুরাদকে অশালীন কথাবার্তা ও ধর্ষণের হুমকি দিতে শোনা যায়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।

এরপর সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ডা. মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। ওইদিন বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।

ডা. মুরাদ জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। তাঁর বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।  

বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে ডা. মুরাদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের আগামী কার্যনির্বাহী সংসদীয় বৈঠকে তার দলীয় সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
টিআর/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।