ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিচার নিশ্চিতে সাংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২১
সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিচার নিশ্চিতে সাংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সংঘটিত প্রতিটি নিপীড়নের ঘটনার বিচার নিশ্চিতে যুগােপযােগী আইনপ্রণয়নসহ সাংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে রিসার্চ অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন (আরইও), হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (এইচআরডিসি) এবং হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কর্মী গৌরাঙ্গ দে। এ সময় আরইও'র চেয়ারম্যান চন্দন সরকার ও এইচআরডিসি'র জেনারেল সেক্রেটারি মাহবুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার শীর্ষক এই আয়োজনে বলা হয়, সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলাকালে এমন হামলা-নিপীড়নের ঘটনা ইতােপূর্বে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেনি। এই সাম্প্রদায়িক হামলা নিপীড়নের ঘটনায় ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’র একটি প্রতিনিধি দল গত ২১ অক্টোবর রংপুর জেলার পীরগঞ্জের মাঝি পাড়ার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আক্রান্ত বসতি পরিদর্শন করে। এছাড়া গত ২৫ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ার দীঘি অস্থায়ী পূজামণ্ডপ এলাকা, হামলায় নিহত দিলিপ দাসের বাড়ি ও নােয়াখালীর ইসকন মন্দির, রাধামাধব আখড়া মন্দির, রাম ঠাকুর আশ্রম, পােড়াবাড়ি কালি মন্দির, বিজয়া দুর্গা মন্দির ও লােকনাথ মন্দির পরিদর্শন করেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ‘সাম্প্রদায়িক হামলা: নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’র পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় আয়োজনে। এগুলো হলো- এ যাবৎ সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত-অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে; সনাতন ধর্মাবলম্বী তথা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিরুদ্ধ সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কাঠামাে তৈরির রাজনৈতিক ও সামাজিকপ্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে; সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত ও প্রাশিত ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট প্রত্যাহার ও এই সকল কন্টেন্ট প্রচার ও প্রকাশকারীদের আইনের আওতায় নিতে হবে।

এছাড়া ধর্মীয় আলােচনার নামে ভিন্ন ধর্ম ও মতাবলম্বী এবং নারীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে; এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা-সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রতিটি ঘটনা নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও এ সময় প্রস্তাব পেশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
এইচএমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।