ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকে: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২১
শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকে: প্রধানমন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে শিল্প কলকারখানা, উৎপাদন এবং রপ্তানি যেন সঠিকভাবে চলতে পারে সেজন্য মালিক শ্রমিকের সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ এবং মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলসহ ০৮টি নব নির্মিত স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি সব সময় আমাদের মালিক এবং শ্রমিকদের একটা অনুরোধই করবো, শ্রমিক-মালিকের সম্পর্কটা যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালিকদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে এ শ্রমিকরা শ্রম দিয়েই তাদের কারখানা চালু রাখে এবং অর্থ উপার্জনের পথ করে দেয়। আবার সেই সঙ্গে শ্রমিকদেরও এ কথা মনে রাখতে হবে যে কারখানাগুলো আছে বলেই তারা কাজ করে খেতে পারছেন, তাদের পরিবার পরিজনকে পালতে পারছেন বা তারা নিজেরা আর্থিক ভাবে কিছু উপার্জন করতে পারছেন। আর কারখানা যদি ঠিক মতো না চলে তাহলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। কাজেই যে কারখানা আপনার রুটি রুজির ব্যবস্থা করে অর্থাৎ আপনার খাদ্যের ব্যবস্থা করে, আপনার জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে সেই কারখানার প্রতি যত্নবান হতে হবে।

শ্রমিক-মালিক পরস্পর পরস্পরের সুবিধা-অসুবিধা দেখার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, মালিকদের দেখতে হবে শ্রমিকদের অসুবিধা কি কি। তাদের জীবন-জীবিকা যাতে সুন্দর ভাবে চলে, সেই ব্যবস্থা করা। শ্রমের ন্যায্য মূল্যটা যেন তারা পায়, শ্রমের পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে সেটাও তাদের দেখতে হবে। আবার শ্রমিকদেরও দায়িত্ব থাকবে কারখানাটা সুন্দরভাবে যেন চলে, উৎপাদন যেন বাড়ে, সেই ব্যাপারটা লক্ষ্য রাখা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু আপনাদের কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় আমরা দেখি, বাইরে থেকে কিছু শ্রমিক নেতারা বা কোন কোনো মহল উস্কানি দেয়, একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, এখন বিশ্ব প্রতিযোগীতামূলক। এ প্রতিযোগীতাময় বিশ্বে শিল্প কল-কারখানা, উৎপাদন এবং রপ্তানি যদি সঠিক ভাবে চালাতে হয় তাহলে কারখানাগুলো যেন যথাযথ ভাবে চলে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যদি সেখানে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে কিন্তু এ রপ্তানিও বন্ধ হবে। তখন কর্মপরিস্থিতি থাকবে না। নিজেরাও কাজ হারাবেন। বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরতে হবে তখন। সেই কথাটা মনে রেখে শ্রমিক যারা তাদেরও কিন্তু একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। এখানে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ দেওয়া হয়। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক-প্রতিনিধিদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

পরে প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মহিলা শ্রমজীবী হোস্টেল এবং ৫ শয্যার হাসপাতাল সুবিধাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র,  চট্টগ্রামে ৬ তলা বিশিষ্ট শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন ভবন, নারায়ণগঞ্জে ৫ তলা ভবন বিশিষ্ট আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, বগুড়ায় ৩ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র ও আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, গাইবান্ধায় ৩ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, বাগেরহাটের মোংলায় ৩ তলা বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, খুলনার রূপসায় ৪ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র এবং রাঙ্গামাটির ঘাগড়ায় শ্রম কল্যাণ কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এমইউএম/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।