ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিনহা হত্যা: নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন ওসি প্রদীপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২১
সিনহা হত্যা: নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন ওসি প্রদীপ

কক্সবাজার: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ৩৪২ ধারায় নিজের স্বপক্ষে আদালতে লিখিত বক্তব্য (সাফাই সাক্ষী) দিয়েছেন বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ১৪ জন আসামি। ওসি প্রদীপ তার বক্তব্যে নিজেকে নির্দোষ, নিরাপরাধ ও নিরীহ বলে দাবি করেছেন।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইলের আদালতে এ কার্যক্রম চলে।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এড. ফরিদুল আলম জানান, সকাল দশটার পর সিনহা হত্যা মামলার ৩৪২ ধারায় ৬৪ সাক্ষীদের দেওয়া জবানবন্দী আসামিদের নজরে আনেন আদালত। পরে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৪ জন আসামি নিজেদের স্বপক্ষে লিখিত বক্তব্য আদালতের কাছে উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, মামলার দ্বিতীয় আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ আদালতের কাছে লিখিত বক্তব্যে সিনহা হত্যা মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখেছেন, সিনহা হত্যা মামলায় সাক্ষীদের অধিকাংশই মাদক মামলার আসামি, যাদের জবানবন্দী ছিল একই রকম ও তদন্ত কর্মকর্তার শেখানো বুলি ছিল মাত্র।


৩৪২ ধারায় প্রদীপ দাবি করেন, মেজর সিনহা সহকর্মী সিফাত শিপ্রার সঙ্গে প্রদীপের কখনো পূর্বে দেখাদেখি বা পরিচয় ছিল না। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে এই মামলার আসামিদের কারো সঙ্গে তার কথা হয়নি। ১২ পৃষ্ঠা জুড়ে লিখিত বক্তব্যে প্রদীপ কুমার দাশ তিনি নিজেকে নির্দোষ, নিরাপদ ও নিরীহ দাবির পেছনে যৌক্তিক প্রমাণ আছে বলে দাবি করেন।

এড. ফরিদুল আরও বলেন, মঙ্গল ও বুধবার আসামিদের বক্তব্য যাচাই বাছাই করবেন আদালত।

সোমবার সকালে ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।

কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিরা নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর আগে অষ্টম দফায় এ মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৬৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মামলার দিন ধার্য রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলার ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা,ডিসেম্বর ০৬,ঘন্টা ২০২১
এসবি/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।