ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অপুষ্টি শ্রমিকের কর্মক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
অপুষ্টি শ্রমিকের কর্মক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে

ঢাকা: দীর্ঘমেয়াদী অপুষ্টি শ্রমিকের কর্মক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।  

তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে।

অন্যদিকে পুষ্টিকর খাবার জনস্বাস্থ্যের তথা শারীরিক বৃদ্ধি, মেধা বিকাশ ও যথাযথ কর্মক্ষমতার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ।

রোববার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশনের সহযোগিতায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘কর্মক্ষেত্র পুষ্টি কার্যক্রম: শিক্ষণ বিনিময়’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  

মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, সরকার শুধু শ্রমিক নয়, সব জনগণের অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশের মানুষের পুষ্টির অবস্থার উন্নতির জন্য সরকার পুষ্টি নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করেছে এবং দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫) গ্রহণ করেছে।  

কারখানায় শ্রমিকদের যে নাস্তা দেওয়া হয় সেগুলো যেন পুষ্টিকর হয় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র নেতাদের সে অনুরোধ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই মিলে ১৭ কোটি মানুষকে পুষ্টির বেড়াজালে আটকাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মঙ্গাকে বিদায় করেছি, খাদ্য ঘাটতিকে দূর করেছি, মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছি।  

মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, সরকার নীতি, প্রশাসনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের মাধ্যমে দেশের শুধু শ্রমজীবী মানুষই নয়, সব নাগরিকের অপুষ্টিজনিত ঘাটতি দূরীকরণের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।  

বাংলাদেশে প্রায় ৮ শতাংশ জিডিপি হ্রাস পায় শুধু আয়রনের অভাবজনিত এনেমিয়ার কারণে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে একটি পুষ্টি কালচার তৈরির আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্যই সম্পদ। আগামীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মাধ্যমে পুষ্টি বিষয়ে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি বেশি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।  

সেমিনারে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএ’র সম্মানিত সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুতিআইনেন, ন্যাশনাল নিউট্রেশন সার্ভিসের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম-মহাপরিদর্শক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার বক্তব্য রাখেন। ওয়ার্ক ফোর্স নিউটেশন ও ইভালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিংয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন ও ডা. সাইদ আবুল হামিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।