ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কিশোর-কিশোরীর ফেসবুক মনিটরিং করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
কিশোর-কিশোরীর ফেসবুক মনিটরিং করতে হবে মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: রাজিন চৌধুরী

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কিশোর গ্যাং অপসংস্কৃতি রুখতে হলে সবার আগে কিশোর-কিশোরীদের ফেসবুক মনিটরিং করতে হবে। এর বিকল্প নেই।

নিজেদের বুঝতে হবে কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক। তারপর সঠিকটা বেছে নিতে হবে। এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে হবে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা রাজউক মডেল কলেজ হল রুমে আয়োজিত ‘কিশোর গ্যাং অপসংস্কৃতি এবং আমাদের করোনীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন মেয়র। র‌্যাব-১-এর আয়োজন এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক সেটা নিজেদের জাজমেন্ট করতে হবে। নয় তো আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব না। আজকাল কিছু হলেই হুজুক আর গুজব। এই দুটো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, আল্লাহ প্রতিটা শিক্ষার্থীর বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন। কেউ কম বোঝে, আবার কেউ বেশি বোঝে। কিন্তু সবাই বোঝে।

মেয়র বলেন, আমি যখন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন গার্মেন্টস শিল্পের বড় ট্রাজেডি রানা প্লাজা ধস হয়। তখন বিশ্বের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অ্যান্টি ক্যাম্পেইন শুরু করেছিল বাংলাদেশকে নিয়ে। তারা বলছিল, বাংলাদেশ থেকে কোনো গার্মেন্টস পণ্য কিনবে না। ওই সময় আমারা যদি কোনো পণ্য রপ্তানি করতে না পারি তবে দেশের ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক বিপদে পড়বে। আমি তখন বলি, তোমরা বাংলাদেশ থেকে পোশাক না কিনলে আমাদের কিচ্ছু হবে না, কিন্তু আমাদের দেশের ৪০ লাখ শ্রমিক আছে, তারা কি করবে? তখন সবাই বলল, না আমরা বাংলাদেশ থেকে পণ্য কিনব।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময় মিলেছে লাল-সবুজের পতাকা। তারা কিন্তু চায়নি মন্ত্রী হবে, এমপি হবে। তারা চায়নি মেয়র হবে। বঙ্গবন্ধু চায়নি প্রধানমন্ত্রী হতে। ৩০ লাখ লোকের রক্তের বিনিময় এই দেশ আর আমরা এখানে বসে অপসংস্কৃতি দেখব। না, এটা আমাদের বাংলাদেশ, আমাদের ঢাকা শহর। আমাদের সমাজকে আমাদের ঠিক করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি অনেক কষ্টে বড় হয়েছি। আমার বাবা-মা ও শিক্ষকদের কারণেই আজ আমি বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট হয়েছি, আমি মেয়র হয়েছি। তোমাদের বাবা-মাও তোমাদের খুব কষ্ট করে লালন-পালন করছে।  তাই এটা লাগবে ওটা লাগবে বলে লাভ নেই, যার যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থেকে নিজের জীবনকে গড়তে হবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল আল মোমেন, রাজউক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাইফুল হক। এ ছাড়া স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
এসজেএ/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।