ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পদোন্নতিতে ভালো গবেষকরা যেন উপেক্ষিত না থাকে

ইউনিভার্নিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
পদোন্নতিতে ভালো গবেষকরা যেন উপেক্ষিত না থাকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতিতে ভালো গবেষকরা যেন উপেক্ষিত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার ওপর গুরুত্বরোপ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. মিল্টন হলে তৃতীয় গবেষণা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।



মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার প্রথমত হাতিয়ার হলো গবেষণা। গবেষণার জন্য শুধু টাকা বরাদ্দ দিলে হয় না। ইকো-সিস্টেম দরকার, পরিবেশ দরকার হয়। গবেষকদের নিয়ম মেনেই গবেষণা করতে হবে।

গবেষণার মানের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, গবেষণার সংখ্যা যেমন জরুরি তেমন মানটাও জরুরি। সংখ্যায় কম হলেও মানটা যেন বেশি ভালো হয়।

গবেষণায় বরাদ্দ কথাটি মোটেও ঠিক নয় উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, গবেষণার ফান্ড নানাভাবে দেওয়া হয়। প্রায়শই শুনতে হয় গবেষণায় বরাদ্দ নেই। দুঃখের বিষয় হলো অনেক গবেষণার বরাদ্দ ফিরে যায়। যারা গবেষণা করতে চায় তারাই হয়তো ঠিকমতো নিয়মটা জানেন না। আশার দিক হলো, গবেষণার চর্চা আস্তে আস্তে তৈরি হচ্ছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় মনোনিবেশ করছে। প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় থোক বরাদ্দ দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পদোন্নতিতেও যেন গবেষণার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। মান সম্মত জানালে কয়টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সেটি দেখা হয়। ভালো গবেষকরা যেন উপেক্ষিত না থাকে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)  উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহিদুল্লাহ ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক)  অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান।

কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, মেডিক্যাল রিসার্চ অন্য রিসার্চের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে এর সঙ্গে মানুষের জীবন জড়িত। মানুষের জীবনে প্রশ্ন জড়িত থাকায় এটিকে গবেষকদের সিরিয়াসলি গ্রহণ করতে হবে।

বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। তাই আমাদেরকে ‘আউটকাম বেইসড’  রিসার্চে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা ইউসিজি থেকে টাকা দিই। কিন্তু কোন আউটকাম নেই। অনেকে নাম্বার বাড়ানোর জন্য রিসার্চ করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদে বলেন, রিসার্চ কোন ভয়ের জিনিস নয়। সার্চ করলেই রিসার্চ হয়ে যাবে। আমরা প্রতিদিন যে রোগী দেখি সেগুলো যদি ডায়েরিতে নোট নিই। তাহলে এক বছর পরে আমাদের অনেক রিসার্চ আর্টিকেল বের হবে।

মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন বলেন, গবেষণার মাধ্যমে বাংলার মানুষকে অন্য ধাপে পৌঁছাতে পারবো। দুই বছর আগেও করোনা নিয়ে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রথম ধাপ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। আমাদের মেধা আছে বুদ্ধি আছে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে গবেষণার অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে পারব।

অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রতিটি সেক্টরে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের বুকে যদি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয় তাহলে গবেষণার বিকল্প নেই।  

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় বাজেট তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে। আমরা আশা করবো, আপনারা গবেষণায় মনোনিবেশ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়াতে ভূমিকা রাখবেন।

অনুষ্ঠানে ১৫ জন চিকিৎসককে রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড-২০২১ তুলে দেওয়া হয়।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হলেন- অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), ডা. শাহজাদা সেলিম, ডা. মো. ফজলে রাব্বি চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান, ডা. শাকিলা ইসরাত, ডা. হৃদয় রঞ্জন, অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, ডা. এসএম  রাশেদ উল ইসলাম, ডা. শারমিন আক্তার সুমি, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, ডা. ইসমত জাহান, ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান সবুজ, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ডা. আতিকুল হক ও মো. হারুন অর রশিদ গাজী।

এছাড়া চারজনকে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তারা হলেন- ডা. নীলিমা বর্মণ, ডা. মাশফিকুল হাসান, ডা. নুসরাত সুলতানা ও ডা. শারমিন জাহান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।