ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বংশালে ‘সেই নারী’ খুনের শিকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
বংশালে ‘সেই নারী’ খুনের শিকার

ঢাকা: রাজধানীর বংশাল থানার সিদ্দিকবাজার এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া পান্না বেগমের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

সোমবার (২৫অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জান্নাতুন নাঈম পান্না বেগমের ময়নাতদন্ত ময়নাতদন্ত সম্পন করেন।

ঢামেক মর্গ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নারীর ঘাড়ের নিচ থেকে ছুরির ভাঙা টুকরা পাওয়া গেছে। এ কারণে তার ফুঁসফুঁস ছিদ্র হয়ে গেছে। এছাড়া মরদেহ থেকে ভিসেরা ও ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। স্যাম্পলগুলো পরীক্ষায় পাঠানো হবে।

মেঝ ছেলে কাজী মাহফুজুর রহমান জুবায়ের বলেন, ‘মা রোববার (২৫ অক্টোবর) বিকেল থেকে বাসায় একাই ছিলেন। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সংবাদ পাই তিনি  মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে ‘

তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের দুই কানে স্বর্ণের দুল; একটি নাকফুল, দুই হাতে  স্বর্ণের আংটি এবং দুই পায়ে রূপার নুপুর ছিল- সেগুলো পাওয়া যায়নি। এছাড়া বাসার আসবাবপত্রগুলো এলোমেলো ছিল। ’

এদিকে বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেদায়েত হোসেন মোল্লা নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, রোববার বিকেলে খাওয়া নিয়ে ছেলে জুবায়রকে পিড়াপিড়ি করেন মা পান্না বেগম। কিন্তু না খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় জুবায়ের। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িওোলার ছেলে  ওই বাসায় অন্ধকার ও দরজা খোলা দেখতে পেয়ে নিজের মাকে খবর দেয়। তারা এসে দেখতে পান ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছেন পান্না বেগম। পরে নিহতের ছেলে জুবায়েরকে খবর দেয়া হয়। জুবায়ের এসে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এসআই আরও উল্লেখ করেন, মৃত পান্নার নাকের ওপরে রক্ত জমাট ছিল, ঘাড়ের নিচে মাঝ বরাবর দেড় ইঞ্চি কাটা জখম আছে।

বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, পান্না বেগমের নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামিকরে একটি  হত্যা মামলা হয়েছে (মামলা নম্বর ৫৪)।

তিনি জানান, স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, নিহতের কানে, হাতে, নাকে স্বর্ণের গহনা ছিল। সেগুলো পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল, অথবা তাকে হত্যা করে স্বর্ণের জিনিসগুলো নিয়ে গেছে কিনা- সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখা হচ্ছে।

এর আগে রোববার (২৪ অক্টোবর) রাত পোনে ১১টার দিকে পান্না বেগমকে তার ছেলে জুবায়ের অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। তখন নিহত নারীর পরিবারের সদস্যরা জানান,পান্নার মৃত্যু রহস্যজনক। তার পিঠে আঘাতের চিহ্ন আছে ।

>>> আরও পড়ুন : বংশালে নারীর রহস্যজনক মৃত্যু

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
এজেডএস/এমএমজেড

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।