ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সবার কাছে ইলিশের স্বাদ পৌঁছে দিতে চাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
সবার কাছে ইলিশের স্বাদ পৌঁছে দিতে চাই

ঢাকা: ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ইলিশের স্বাদ পৌঁছে দিতে চান বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২১ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবচেয়ে সুস্বাদু ও ভালো মাছ হচ্ছে ইলিশ। ইলিশ মাছ সংরক্ষণ, উৎপাদন বাড়ানো, এর নিরাপদ আশ্রয় ও নিরাপদ প্রজননের জন্য সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। মা ইলিশ রক্ষা, ইলিশের অভয়াশ্রম সৃষ্টি করা, ইলিশ গবেষণা, জাটকা সংরক্ষণসহ বিভিন্নভাবে আমরা কাজ করছি। ইলিশের পরিসর বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সব প্রকার আগ্রহ রয়েছে, পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরের কর্মকর্তারা সবাই মিলে ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। আমরা চাইবো আগামীতে ইলিশ উৎপাদন আরও বাড়বে। ইলিশের উৎপাদন এমন একটা জায়গায় আসুক যাতে গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষ সুস্বাদু ইলিশের স্বাদ নিতে পারেন। পরিপূর্ণতার সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে ইলিশ খেতে পারেন।

সারা বিশ্বে সবচেয়ে সুস্বাদু ও সর্বোচ্চ ইলিশ মাছ আহরণে আমাদের স্বত্বাধিকার রয়েছে উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ইলিশ রক্ষার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করি। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যাপক হারে যাতে ইলিশ রপ্তানি না হয় সে পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু প্রতিকূলতা লক্ষ্য করেছি। কিছু দুষ্টু লোক তাদের অসাধু পরিকল্পনা ও চিন্তা-চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য দরিদ্র-অসহায় জেলেদের নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে নামাচ্ছে। যারা নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য আহরণে যায় তাদের বিশাল অংশ অন্যের দ্বারা ব্যবহৃত হয়।  

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে এ বছর যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সময় ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শতভাগ সফল করতে নতুন নতুন সৃজনশীল কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা আরও বেশি কীভাবে রাখা যায় সেজন্য নীতি নির্ধারণ করতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণে এবারের অভিযানের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আরও ভালোভাবে ভবিষ্যতে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় দেশের ৮ বিভাগের বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপ-পরিচালকরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের কার্যক্রম তুলে ধরেন। এতে জানানো হয়, এ বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে ৪ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ১৫ হাজার ৩৮৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রায় ৮৮৪ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ