ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মন্দির-পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ডিসির জোর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
মন্দির-পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ডিসির জোর আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা

বগুড়া: বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় পূজামণ্ডপ ও মন্দিরগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রতি জোর দিতে বলেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জিয়াউল হক।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বিশেষ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

দেশের বিভিন্ন স্থানসহ বগুড়ায় মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলায় আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এই বিশেষ সভা ডাকা হয়।

সভায় বিজিবি, জেলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও, পৌরসভার মেয়র, আনসার ও ভিডিপির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া ইসলামী ফাউন্ডেশন, ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।

বিশেষ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রতি জোর দিতে বলেন।  
 
জেলা প্রশাসকের কথায় একমত পোষণ করে হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. এনসি বাড়ই বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে মন্দির ও পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা রাখা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এ জন্য তিনি প্রত্যেক মন্দির কমিটিকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করার বিষয়ে জেলা পুলিশকে অনুরোধ করেন।

শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক বলেন, তার এলাকার ৫৯টি মন্দিরে পূজা হয়েছে।  প্রত্যেক মন্দিরে পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন।

সভায় জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য আনসার ও ভিডিপির সদস্যদের কার্যক্রম জানতে চান ডিসি। এ সময় জেলা আনসার ও ভিডিপির সিএ মোহাম্মদ হাসেম বলেন, স্ট্যাটিক ডেপ্লয়েড হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে আনসার সদস্যরা কাজ করেছে। প্রতি মণ্ডপে অনন্ত দুই জন আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল কবির বলেন, বেসামরিক প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাই বিজিবির কাজ। পূজার সময় বাংলাদেশে প্রথম বগুড়ায় আমরা বিজিবি ডেপ্লয়েড করি। রাতের মধ্যে নন্দীগ্রাম ও গাবতলী উপজেলায় বিজিবি সদস্যরা পৌঁছে যান।

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, দেশে পূজার সময় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি এমন একটি জেলা বগুড়া। প্রত্যেকে আনন্দের সঙ্গে উৎসব করেছে। কোনো আতঙ্ক ছিল না। তবে দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার পরেই লক্ষ্মীপূজায় যে ঘটনা হয়েছে তা বিচ্ছিন্ন বিষয়। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।