ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘এসি বিস্ফোরণে’ মুগদা হাসপাতালে আগুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
‘এসি বিস্ফোরণে’ মুগদা হাসপাতালে আগুন

ঢাকা: রাজধানী মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ছয়তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পরে জানা যাবে, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের কারণ।

ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতালের দায়িত্বরত তিনজন নার্স দগ্ধসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ক্যাথল্যাবের টেকনিশিয়ান জহিরুল হক মজুমদার (৪৫) ৩০ শতাংশ বার্ন নিয়ে এখন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।  

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) মুগদা জেনারেল হাসপাতালের থেকে একটি সূত্র জানান, কোভিড আইসিইউকে নন-কোভিড করা হচ্ছিল, তাই সেখানে রোগী ছিল না। আইসিইউর সঙ্গেই করোনার কারণে বন্ধ থাকা ক্যাথল্যাব চালুর প্রক্রিয়া ছিল। ওই ক্যাথল্যাবে এসি বিস্ফোরণের কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আইসিইউসহ ক্যাথল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, আমরা হাসপাতাল থেকে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে, কীভাবে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস একটি তদন্ত কমিটি করবে।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের ধারণা এসি বিস্ফোরণে এই ঘটনাটি ঘটে হাসপাতালের মোট তিনজন দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে জহির নামের একজনের অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আরও কয়েকজনের অবস্থাও তেমন ভালো না।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে আইসিসিতে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। আমরা প্রাথমিক ধারণা করছি, এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের পরে অগ্নিকাণ্ডে কারণে আইসিইউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবুও আমরা তদন্ত কমিটি করছি। সেই কমিটির রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।

মুগদা হাসপাতালের ঘটনায় আহত ও দগ্ধরা হলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মনিকা পেরেরা (৪০) ৬ শতাংশ দগ্ধ, রুমি খাতুন (৩১) ৮ শতাংশ দগ্ধ, মেরি আক্তার  (২৬) ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ক্যাথল্যাবের টেকনিশিয়ান জহিরুল হকের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ওয়ার্ডবয় নাজমুল হাসানের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, জরুরি বিভাগে পাঁচজন রোগী এসেছিলেন। এর মধ্যে নার্স শাহিনা আক্তারের মাথায় ও নাকে আঘাত ছিল। টিকা নিতে গিয়ে সাইদুলের কাঁধে জখম হয়েছে। তার অপারেশন লাগবে। তাকে ভর্তি কার হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, আহত ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ওমর ফারুকের মাথায়- হাতে, ওয়ার্ডবয় আলমগীর হোসেনের হাতে-পায়ে এবং পথচারী নাজমুল বারীর হাতে আঘাত রয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
এজেডএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad