ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুগদা হাসপাতালে কর্মীদের বেতন বকেয়া ১৫ মাস!  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
মুগদা হাসপাতালে কর্মীদের বেতন বকেয়া ১৫ মাস!   ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল 

ঢাকা: রাজধানীর মুগদা ৫০০ শয্যা হাসপাতালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চিত্রা এন্টারপ্রাইজ’ এবং ‘অনলাইন ট্রেডার্সের’ স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া রাজার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ১৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হাসপাতালটির নির্যাতিত এবং চাকরিচ্যুত আউটসোর্সিং কর্মীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় কর্মীদের পক্ষে হাসপাতালটির আউটসোর্সিং কর্মী নুরুন নাহার বলেন, মুগদা থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া খান রাজা তার দুটি প্রতিষ্ঠান ‘চিত্রা এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘মেসার্স অনলাইন ট্রেডার্স’র মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমাদের বেতন নিয়ে গড়িমসি করে আসছে। বর্তমানে ১৫ মাস ধরে আমাদের বেতন দিচ্ছেন না গোলাম কিবরিয়া খান রাজা।

তিনি বলেন, আমরা ১৩৯ কর্মী অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছি। দীর্ঘদিনের ঘর ভাড়ার টাকা বাড়িওয়ালাকে দিতে পারিনি বলে অনেকের ঘরে বাড়িওয়ালা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। অনেকের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দিয়েছে। মহল্লার দোকানে বাকি টাকা দিতে পারছি না। বাড়িওয়ালা ও দোকানদারের টাকার জন্য অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। অথচ আমাদের ১৩৯ জন এর ১৫ মাসের বেতন তিন কোটি ৬৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন গোলাম কিবরিয়া খান রাজা।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক কারণে গোলাম কিবরিয়া রাজা আমার ওপরে ক্ষিপ্ত হন। তার জের ধরে তিনি দলবল নিয়ে মুগদা মেডিকেলে গিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে কিলঘুষি লাথি মারেন। আমি এই ব্যাপারগুলোরও বিচার দাবি করি।

মানববন্ধন থেকে বকেয়া বেতন পাওয়াসহ নির্যাতনের শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন কর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
এইচএমএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।