ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেখ রাসেলের মানবতাবোধ তৈরি হয়েছিল শৈশবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
শেখ রাসেলের মানবতাবোধ তৈরি হয়েছিল শৈশবে ছবি: রাজিন চৌধুরী

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শেখ রাসেল স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে সিঙ্গারা ভাগ করে খেয়েছেন। সে বন্ধু স্নেহপূর্ণ ছিল।

তার মধ্যে শৈশবে মানবতাবোধ তৈরি হয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ার দরিদ্র প্রতিবেশীদের জন্য কাপড় বিতরণ করার তার মানসিকতা ছিল, সেটা আমরা তুলে ধরতে চাই। শেখ রাসেলের শৈশবে ন্যায্য অধিকার দাবি করার সাহস সেটাও আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলানগর, আগারগাঁও, হল অব ফেম, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনার আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কথা সাহিত্যক আনিসুল হক।

পলক বলেন, ছোট্ট একটা মানুষ তার দায়িত্ববোধ নিয়ে আরেকজন শিশুর যত্ন নিতো। সদ্য ভূমিষ্ঠ সজীব ওয়াজেদ জয়ের কানে যাতে ব্যথা না পায় তার জন্য কানে তুলো গুঁজে দেয়। সেই রাসেল যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে টেলিফোনে স্পষ্ট ভাষায় বলে, ‘ওরা আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে’। এ যে সত্য কথা বলার অসম সাহসিকতা, সেটাও আমরা সঞ্চালিত করতে চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে কারণে বিশ্বের সব মোড়লদের চক্ষুশূল ছিলেন, একই কারণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আজকে সেসব মোড়লদের চক্ষুশূল। যে বাংলাদেশে ১২ বছর আগে একটি দরিদ্র রাষ্ট্র ছিল। ১২ বছরে কী ম্যাজিক দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা মধ্য আয়ের মর্যাদাশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত করলেন। অন্যরা যেটা ৩৮ বছরেও করতে পারেনি। শেখ হাসিনা সেটা কী করে পারলো? শেখ হাসিনা তিনটি শক্তি সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা। সততার প্রমাণ পদ্মাসেতু। দূরদর্শী তার প্রমাণ ডিজিটাল বাংলাদেশ আর সাহসিকতার প্রমাণ  যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার ও ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের বিচার করা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশু-কিশোর-তরুণ সবাইকে আমাদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্যকে সত্য বলতে হবে আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। যারা ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে।

নবনীতা চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, কবি-লেখক-নাট্যকার ও সাংবাদিক আনিসুল হক, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা, আন্তর্জাতিক শিশু পুরস্কার বিজয়ী সাদাত রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad