ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আইনি লড়াইয়ে স্বপদে ফিরলেন অধ্যক্ষ

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
আইনি লড়াইয়ে স্বপদে ফিরলেন অধ্যক্ষ

শ্রীপুর (গাজীপুর): দিনে দিনে কেটে গেছে এক যুগ। একদিনের জন্যও পিছপা হননি তিনি।

অবৈধভাবে কলেজ থেকে বের করে দেওয়াটা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। একাই চালিয়েছেন আইনি লড়াই। অবশেষে আদালতের নির্দেশে গাজীপুরের শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের অধ্যক্ষ পদে বহাল হলেন তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ।

২০০৯ সালে জোর করে তাকে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের অনুসারীরা। এরপর থেকেই তিনি পদ ফিরে পেতে শুরু করেন আইনি লড়াই।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের পঞ্চম সিনিয়র জজ আদালত তার স্বপদে বহাল হওয়ার আদেশ দিলে তিনি ১৬ অক্টোবর (শনিবার) কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যোগদানের আবেদন করেন।

অধ্যক্ষের আইনজীবী এ এ এম আমানুল্লাহ ফরিদ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আকন্দকে ২০০৯ সালে সন্ত্রাসী কায়দায় জোর করে কলেজ থেকে বের করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় তৎকালীন পরিচালনা পরিষদ। পরে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পরিচালনা পরিষদকে ব্যবহার করে নুরুন্নবী আকন্দ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে বহাল হন।  তোফাজ্জল হোসেন বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে কলেজে প্রবেশ করতে না পেরে গাজীপুর আদালতে দেওয়ানি মোকাদ্দমা দায়ের করেন। পরে তা পঞ্চম সিনিয়র জজ আদালতে বদলি হয়। অবশেষে দীর্ঘদিন শুনানি শেষে অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল মর্মে রায় দেন আদালত। এখন থেকে তার দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা রইলো না।

পুনর্বাহাল হওয়া অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বাংলানিউজকে জানান, ২০০৫ সালে তিনি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। ২০০৯ সালে কলেজের পরিচালনা পরিষদের এক সভা চলাকালে তাকে সন্ত্রাসী কায়দায় জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বের করে দেওয়া হয়। পরে তারা রেজুলিউশন তৈরি করে নুরুন্নবী আকন্দকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়। একজন শিক্ষক হিসেবে এটা তার কাছে ছিল চরম অবমাননাকর। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি, চালিয়েছেন আইনি লড়াই।

তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, বিধি অনুযায়ী বয়স হয়ে যাওয়ায় আমার চাকরির মেয়াদ আর কয়েকমাস রয়েছে। আদালতের আদেশে সত্যের জয় হয়েছে। বাকি কয়েক মাস সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্বপালন করতে চাই।

কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ মামলার আদেশের কপিসহ যোগদানের অনুমতি পেয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।