ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারীশিক্ষায় আন্তর্জাতিক সমর্থন চান চীনা ফার্স্ট লেডি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
নারীশিক্ষায় আন্তর্জাতিক সমর্থন চান চীনা ফার্স্ট লেডি

ঢাকা: চীনের ফার্স্ট লেডি ও ইউনেস্কোর বিশেষ দূত ফেং লিইউয়ান বলেছেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা ‘এজেন্ডা-২০৩০’ বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত মেয়ে ও নারীদের শিক্ষার প্রসারে বেশি অধিক মনোযোগী হওয়া।  

বেইজিং থেকে ভিডিও-লিংকের মাধ্যমে ইউনেস্কোর ‘প্রাইজ ফর গার্লস অ্যান্ড উইমেনস এডুকেশান’ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

 

তিনি ব্রাজিল ও মোজাম্বিকের পুরস্কারবিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ২০১৫ সালে চীন ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে প্রবর্তিত এ পুরস্কার বিশ্বব্যাপী নারীশিক্ষার উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছে। এ কারণে নারীশিক্ষার উন্নয়নে আরও বেশি মানুষ উৎসাহিত হয়েছেন ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখে আসছেন। বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মেয়ে শিশু ও নারী শিক্ষিত হয়ে আত্মবিশ্বাস পেয়ে নিজেদের ভাগ্য বদলেছেন। তা ছাড়া বিশ্বজুড়ে নারীশিক্ষার প্রতি সমর্থনও বাড়ছে। এর ফলে সারাবিশ্বে ধীরে ধীরে শিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা সৃষ্টি হচ্ছে।  

তিনি বলেন, চীন ও জাতিসংঘের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ দ্বিতীয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান যেন এক নতুন সূচনা, যা মেয়ে শিশু ও নারীদের শিক্ষার উন্নয়নে নতুন জীবনশক্তি যোগাবে। আন্তর্জাতিক সমাজকে এ ক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হতে হবে; দিতে হবে সমর্থন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা ‘এজেন্ডা-২০৩০’ বাস্তবায়নের জন্য নতুন অবদান রাখবে এ পুরস্কার।  

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সারাবিশ্বের মেয়ে শিশু ও নারীদের শিক্ষার ওপর মহামারির নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট। বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সঠিক ও কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে তাদের জন্য ন্যায়সঙ্গত ও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে সার্বিকভাবে দরিদ্র পরিবার ও দরিদ্র অঞ্চলের মেয়ে ও নারীদের শিক্ষাকে সহযোগিতা দেওয়া জরুরি। এতে তাদের নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মসংস্থান পাওয়া বা উদ্ভাবনের শক্তি ও সামর্থ্য বেড়ে যাবে। ডিজিটাল যুগে তারাও যেন সুখী জীবন উপভোগ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি নারীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যাতে তাদের ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের সামর্থ্য বাড়ে। সার্বিকভাবে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের মান উন্নত করতে হবে।

ছোট নদ-নদী মিলে সমুদ্র হয়ে যায়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদান মিলে মহান ভালোবাসা ও কল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

ইউনেস্কোর বিশেষ দূত হিসেবে সবার সঙ্গে হাতে হাত রেখে আরও বেশি শিশু ও বোনেদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চান বলেও তিনি উল্লেখ করেন।  

একই দিনে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে তার ভাষণে বলেন, চীন সরকারের সমর্থনে প্রবর্তিত মেয়ে ও নারীদের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট এ পুরস্কার মহামারির মধ্যেও নারী ও শিশুদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।  

এ ক্ষেত্রে চীন সরকারের সমর্থন ও সহায়তার কথা তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বিশেষ করে মাদাম ফেং লি ইউয়ানের দৃঢ় সমর্থনের জন্য তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

চীন ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে প্রবর্তিত ‘প্রাইজ ফর গার্লস অ্যান্ড উইমেনস এডুকেশান’ হচ্ছে মেয়ে ও নারীদের শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একমাত্র আন্তর্জাতিক পুরস্কার।  
আন্তর্জাতিক সমাজে এ পুরস্কার ব্যাপক সমর্থন ও প্রশংসা পেয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
টি আর/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।