ঢাকা : সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিএনজি স্টেশন মালিকরা শিগগির লাগাতার ধর্মঘটে যাবার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শনিবার বিকালে সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে সংগঠনের সভাপতি শফিউল ইসলাম বাংলানিউজ’কে এ কথা জানান।
শফিউল ইসলাম বলেন, ‘আজ আমরা কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেছি। আমরা ধর্মঘটের কথা ভাবছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী শনিবার কমিটির সাধারণ সভায়। ’
তিনি আরো জানান, আগামী ২ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী, জ্বালানি উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্টেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। যদি এ সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সুখকর কোনো ফলাফল পাওয়া না যায় তাহলে আগামী সপ্তাহ থেকে তারা লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।
বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন নয়ন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ কমিটির সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন নয়ন বাংলানিউজ’কে বলেন, সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে বড়জোর ৬০ থেকে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় সম্ভব। এতে ৪/৫ মেগাওয়াট বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে । তিনি বলেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে তেমনি অন্যদিকে, স্টেশন মালিকদের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে গত ১৬ আগস্ট থেকে দেশের সব সিএনজি স্টেশন দৈনিক ৬ ঘণ্টা, অর্থাৎ বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উর্ব্ধতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এ নির্দেশের ফলে আবাসিক সংযোগসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে বলে ওই কর্মকর্তা দাবি করেন।
দেশে ৫৫৬টি সিএনজি স্টেশনে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ১০ কোটি ঘনফুট, যা মোট চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১১২১ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০।