কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত তিন বাংলাদেশি যুবককে গহীন পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
উদ্ধার হওয়া তিন বাংলাদেশি হলেন- নোয়াখালীর হাতিয়ার বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম (২৪), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকার আল আমিন (২৭) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এলাকার মো. মুক্তার হোসেন মৃধা (২৭)।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওই তিন যুবককে কাজ দেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় ডেকে আনে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এরপর অপহরণ করে তাদের স্বজনদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। মুক্তিপণের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তিনজনকে মেরে ফেলারও হুমকিও দেয় তারা। পরে বিষয়টি র্যাবকে অবহিত করেন অপহৃত আজিজুলের ভাই হাসান মো. সায়েম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশে অভিযান চালায়। অভিযানে অপহৃত তিন বাংলাদেশি যুবককে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানের সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লকের পুতিয়া গ্রুপের প্রধান ছৈয়দ হোসেন প্রকাশ পুতিয়া (২২), এহসান (২৬), আলম (২৪), গুরা মিয়ার ছেলে জুবায়ের (২৫), মিন্টু মিয়া (২৮), সোলতান আহমদের ছেলে হাসান আহমদ (২৮), নুরুল ইসলাম মাঝি, সাইদুল ইসলাম প্রকাশ জালিয়া (২৮), মো. শফির ছেলে হামিদ হোসেন প্রকাশ ভুতরা (৩৫), নাগুর ছেলে মো. সালাম প্রকাশ (৪২), আবু সোলতানের ছেলে মো. ইসমাঈল (৩০), আবুল কালামের ছেলে নুর কামাল (২৫), নুর হোসাইনের ছেলে মো. রাসেল (২৭), মো. হোসাইনের ছেলে মো. ইউছুফ (২১), পাতলার ছেলে করিম (২০), মো. ছায়েদ আহমদের ছেলে মো. ইউনুছ (৩৫), জকির আহমদের ছেলে জাবের হোসেন (২২) এবং মো. হাশেমসহ (৩০) অন্তত ১৮ থেকে ২০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় আজিজুলের বড় ভাই বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ সাদী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
এসবি/আরআইএস