ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেট নগরের ফুটপাত হকারমুক্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
সিলেট নগরের ফুটপাত হকারমুক্ত সিলেট নগরের ফুটপাত হকারমুক্ত। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: ‘পূণর্বাসনেও কাজ হয়নি, ফের বেদখল ফুটপাত’ শিরোনামে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজের সংবাদে টনক নড়ে নগর কর্তৃপক্ষের।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ অভিযানে নামার আগেই খালি হয়ে যায় ফুটপাত।

এদিন সকাল থেকে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বসতে দেখা যায়নি হকারদের।

সংবাদের পরদিন শনিবার থেকে ফুটপাতে ব্যাপক ধরপাকড় চালায় সিটি করপোরেশনের একাধিক টিম। ফলে রোববার সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফুটপাত জুড়ে হকারদের বসতে দেখা যায়নি। নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে নগরের ফুটপাতগুলো উচ্ছেদে নামে পুলিশও। অভিযানের কারণে রাতেই ফুটপাত ছেড়ে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদেও পুলিশ রেকার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের কনজারভেটিভ অফিসার হানিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ফুটপাতে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালালেও ফের হকারদের দখলে চলে যায়। বাংলানিউজকে সংবাদ প্রকাশের পর আমরাও অভিযান জোরদার করি। পাশাপাশি হকারাও ‘অ্যাকশন হবে’ বুঝতে পেরেছেন সরে গেছেন।   

তিনি বলেন, নগরের ভাসমান হকারদের পূণর্বাসনের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শে নির্দিষ্ট একটি স্থানে হকার শেড করে দিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে হকারদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসার ব্যবস্থা করে দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই স্থান ছেড়ে রাস্তা সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে রাখেন তারা।  

নগর ভবনের অভিযানিক দলে থাকা একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, হকাররা ক’দিন শেডে বসলেও দোকানীরা রাস্তা দখল করে পসরা সাজিয়ে লোক ব্যবসা শুরু করায় হকাররা শেডে না বসে আবারো ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা শুরু করেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, নগর ভবনে ফটকের দুই ধারে ফুটপাত ও রাস্তার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত থাকতো হকারদের দখলে। পাশেই কুদরত উল্লাহ মার্কেটের প্রতিটি দোকানের সামনে অস্থায়ীভাবে পসরা সাজিয়ে বসানো হতো হকার। পাশেই বন্দরবাজার ফাঁড়ি, আদালত পাড়া, পুলিশ সুপার কার্যালয়, জেলা প্রশাসনের বাসভবনের ফটক, জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ফুটপাত ও সড়ক নিত্যদিন হকারদের দখলে থাকতো। রোববার দেখা গেলো এক ভিন্ন চিত্র। এদিন দখলমুক্ত ফুটপাত ধরে পথচারিদের হাঁটতে দেখা গেছে।

পথচারিদের কয়েকজন জানান, নগরের ফুটপাত ধরে হাঁটাচলা মুশকিল। যে পথ দিয়ে পুরুষরা চলতে পারে না। সে পথ নারীদের জন্য কতটুকু ব্যবহার উপযোগী প্রশ্ন তুলে সদর উপজেলার সোহেল আহমদ বলেন, নগরের ব্যস্ততম সড়কগুলো ও স্কুলের সামনের ফুটপাত যেন বেদখল না হয়, সেজন্য নগরকর্তৃপক্ষ ও পুলিশকেই গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই আর কেউ ফুটপাত দখল করবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।