ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট প্রত্যাহার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট প্রত্যাহার 

ঢাকা: ১৫ দফা দাবিতে ডাকা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তালুকদার মো. মনির এবং বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান- ট্রাক- প্রাইম মুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মুকবুল আহমদ।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের বৈঠক শেষে তারা এ ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মনির বলেন, বৈঠকে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট ও আনন্দিত। এজন্য আমাদের ৭২ ঘণ্টার যে কর্মসূচি ছিল সেটা আমরা প্রত্যাহার করে নিলাম।

বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান- ট্রাক- প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মুকবুল আহমদ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট। এজন্য আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের জননিরাপত্তা সিনিয়র সচিব, আইজিপি ও সড়ক পরিবহন সচিব, নৌপরিবহন বন্দর সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও হাইওয়ে পুলিশসহ শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান- ট্রাক- প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির এবং বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন তাদের ১৫টি দাবি আমাদের কাছে দিয়েছেন। আমরা তাদের দাবিগুলো শুনেছি। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে যে দাবিগুলো মনে করেছি দ্রুত সমাধান করা উচিত সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর যে দাবিগুলো মনে করেছি সময় লাগবে সেগুলোর বিষয়ে আমাদের সচিবরা নোট নিয়েছেন এবং তাদের মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে তাদের যে দাবি ছিল সেটা বিআরটিএ- চেয়ারম্যান একটা ট্রাক্সফোর্স গঠন করে যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করবেন। এছাড়া বৈঠকে অন্যান্য দাবিগুলো নিয়ে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পরে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন সেগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।


এর আগে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে আগামী শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিল।

১৫ দফা দাবিগুলো হলো- মোটরযান মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করা, যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছেন তাদের সবাইকে সহজ শর্তে এবং সরকারি ফির বিনিময়ে লাইসেন্স দেওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে পুনরায় হয়রানিমূলক ফিটনেস ও পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল, সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় রেশন-সুবিধার আওতায় আনা, সব বন্দরে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বার্ষিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দেওয়া, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, যেখানে-সেখানে গাড়ি চেকিং না করা, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্য পরিবহনে শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক ও মহাসড়কে বিশ্রামাগার ও টার্মিনাল নির্মাণ, সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে এককালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।