ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ফুড সিস্টেম সামিটে’ পথ-নির্দেশিকা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
‘ফুড সিস্টেম সামিটে’ পথ-নির্দেশিকা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ফুড সিস্টেম সামিট আহ্বান করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পাথওয়ে ডকুমেন্ট (পথ-নির্দেশিকা) উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। আগামী এক দশকে বাংলাদেশের খাদ্য পরিকল্পনাকে বিবেচনায় নিয়ে ন্যাশনাল পাথওয়ে ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার চালিকাশক্তি হবে এই পাথওয়ে ডকুমেন্ট।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় তথ্য ভবন অডিটোরিয়ামে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘জাতিসংঘ ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিতকরণ’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

দেশে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জনগণকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কেও সচেতন করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সাথে জনগণের কাছে পাথওয়ে ডকুমেন্ট সম্পর্কে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা যদি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে না পারি তাহলে লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে থাকব। টেকসই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর একটা সময় মানুষকে এক বেলা ভাত খেয়ে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে। সেই বাংলাদেশের মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সবদিকেই উন্নতি হয়েছে। এবার আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, খাদ্য পাওয়ার অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র প্রয়োজন মাফিক নাগরিকের খাদ্য নিশ্চিত করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে সবার মধ্যে খাদ্যসচেতনতা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছি। জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা অনেকেই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের (ব্যালান্সড ডায়েট) সঠিক নিয়ম জানি না। আবার অনেকেই জেনেও তা মানি না। এসব বিষয়ে সচেতনতা দরকার।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।