ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের বন্ধন: মহিবুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের বন্ধন: মহিবুল

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের বন্ধন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

 

ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন (আইটেক) প্রোগ্রাম-২০২১ উপলক্ষে আইটেক দিবস উদযাপনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্তের বন্ধন। আমাদের স্বাধীনতায় দু’দেশের যোদ্ধারা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। আমাদের দু’দেশ থেকে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। আমরা তাদের মতো অন্যদের শাসন করিনি বরং শাসিত হয়েছি। কোনো দেশে হামলা চালিয়ে তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেনি বরং উপমহাদেশ নিজের সম্পদ কাজে লাগিয়েই আজকের অবস্থানে এসেছি।  

আইটেক কর্মসূচি নিয়ে মহিবুল হাসান বলেন, আইটেক একটি দারুণ কর্মসূচি। এটা বাংলাদেশের মধ্যকার স্বাভাবিক মেলবন্ধন, যা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে প্রতি মুহূর্তেই পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দু’দেশের মধ্যকার এ সহজাত ভ্রাতৃত্ববোধ উদযাপন করার জন্য আইটেক একটি দারুণ মাধ্যম।  

বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে ভারত শিক্ষা নিতে পারে উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ উন্নয়নের বিষয়ে ভারত আমাদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। যেমন গ্রামীণ উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাগুলো কিভাবে সরকারের সহযোগী হয়ে কাজ করছে সেই অভিজ্ঞতা তারা আমাদের থেকে নিতে পারে। আমাদের দু’দেশের মধ্যে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে মিল রয়েছে। আমরা দু’দেশ এসব বিষয়ে কাজ করতে পারি। এ ধরনের কর্মসূচি কাজের সেই সুযোগই বৃদ্ধি করে। আবার আমরা যে দক্ষতামূলক শিক্ষার কথা বলি, সেটা ভারতের কাছ থেকে আমরা শিখতে পারি।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, আইটেক আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এ প্রকল্পের পার্টনার বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মতো দেশগুলো।

‘আইটেক দেশগুলোর মধ্যে আবেগ এর পাশাপশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। প্রায় দুই লাখের বেশি পেশাজীবীর দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে এ প্রোগ্রাম। এটা শুধু ভারতে স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থান করার বিষয় না। বরং সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে পেশাজীবীদের এক জায়গায় একত্রিত করা যায়, যার মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা আরো দক্ষ হতে পারেন। ’ 

দোরাইস্বামী বলেন, শুধু বাংলাদেশের কথা বললে, এখানকার পেশাজীবীদের জন্য আমরা ভারতের সেরা সব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের সুযোগ রেখেছি। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ সাপেক্ষে বিশেষায়িত কিছু প্রোগ্রামও আছে আমাদের। এখানকার সাংবাদিকদের জন্যও আমাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে সিভিল সার্ভিসের প্রায় এক হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তাকে ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিচার বিভাগের প্রায় এক হাজার ৫০০ জন ছাড়াও পুলিশ সদস্যদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।  

‘এর মাধ্যমে যে শুধু তারাই শিখছেন সেটি নয় বরং আমরাও শিখছি। আইটেক উভয় দেশের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ে এক ব্রিজের মতো কাজ করছে। ’ 

অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আইটেক কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ পাওয়া বিভিন্ন অ্যালামনাই সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
এসএইচএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।