ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংখ্যালঘু সুরক্ষায় ৫ দফা দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
সংখ্যালঘু সুরক্ষায় ৫ দফা দাবি

ঢাকা: সংখ্যালঘু জনগণকে দেশে দেশে জাতীয় রাজনীতির নানা হিসেব-নিকাশের কারণে কঠিন সংকট মোকাবিলা করে বেঁচে থাকতে হয়। এই সব সংকট মোকাবেলায় অতিদ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের ঐক্যমোর্চা।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ঐক্যমোর্চা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানান ঐক্যমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক রানা দাশগুপ্ত।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— অনতিবিলম্বে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করা, অনতিবিলম্বে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন বাস্তবায়ন করা, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের ভূমি রক্ষায় স্বতন্ত্র ভূমি কমিশন গঠন এবং রাষ্ট্রীয় প্রজাসত্ত্ব আইনের ৯৭ ধারা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ জারি করতে হবে।

বক্তব্যে রানা দাশগুপ্ত বলেন, সংখ্যালঘু জনজীবনে সংকট থেকে উত্তরণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বেশ কয়েকটি অঙ্গীকার করা হয়েছিল। ইশতেহারের ৬৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছিল— অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে। সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হবে। সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জমি, জলাধার ও বন এলাকায় অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণসহ ভূমি কমিশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অনগ্রসর ও অনুন্নতক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও চা বাগান শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা এবং সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে। সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক সকল প্রকার আইন ও অন্যান্য অন্যায় ব্যবস্থার অবসান করা হবে। এবং ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের অধিকারের স্বীকৃতি এবং তাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনধারার স্বাতন্ত্র সংরক্ষণ ও তাদের সুষম উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচিগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, জাতিসংঘ এসডিজির মূল সুর নির্ধারণ করেছে, কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসেও আমরা এ দেশের ধর্মীয়-জাতিগত আদিবাসী সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী আজও একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
এমএমআই/এসআইএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।