চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় ৪০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।
বয়স একশো ছুঁয়েছে মুনসুর আলীর। মুখের একটাও দাঁত নেই। তবুও আয়েশ করে পান চিবুচ্ছেন তিনি। পরিবারে তার একটিমাত্র মেয়ে আছে। গার্মেন্টসে কাজ করেন। তার সামান্য আয়ে বাপ-মেয়ে দুজন খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। খাদ্যসহায়তা পেয়ে মুনসুর বলেন, বিনা খাটাতে চালটা পাইলাম। দোয়া করি। বসুন্ধরার মালিক যেন ১০০ বছর বেঁচে থাকে। আরো ধন-দৌলত পায়। আমাদের উপকার করছে আল্লা যেন তাদের উপকার করে।
এজামুল হক নামের এক উপকারভোগী বলেন, ছয় বছর হইলো আমার মাঞ্জা ভাইঙা গেছে। মাইনষেরতে চাইয়্যা খাই। আপনাদের সাহায্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আল্লা যেন বসুন্ধরা মালিককে সুখে শান্তিতে রাখে। গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে পারে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে সদর পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থানে যারা বড় সুযোগ করে দিচ্ছেন, অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন তাদের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ অন্যতম। তাদের সহায়তায় আজ দেশের প্রান্তিক মানুষের দুঃখ-দুর্দশার দিনেও খাদ্যসহায়তা করছেন। তাই আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের এই মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশা করি। আপনারা যারা আজ খাদ্যসামগ্রী পেলেন সবাই বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করবেন। আর করোনা মহামারি সময়ে আপনারা সুরক্ষিত থাকতে সবাই মাস্ক পরবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২১
এসআইএস