ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নির্বাচন কমিশনের তথ্য প্রকাশের ভূমিকা উদ্বেগজনক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২১
নির্বাচন কমিশনের তথ্য প্রকাশের ভূমিকা উদ্বেগজনক

ঢাকা: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা উদ্বেগজনক, বলছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত এক গবেষণা। নির্বাচন পরিচালনা ছাড়াও ভোটার তালিকা হালনাগাদ, জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহের মতো প্রচারযোগ্য কাজ করে থাকে সংস্থাটি।

দেশের সরকার-বেসরকারি ১৯২টি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের ভূমিকা নিয়ে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে টিআইবি। বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) জুম ওয়েবিনার, ওয়েবসাইট ও ফেসবুক লাইভে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।  

তথ্য প্রকাশের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদনে সন্তোষজনক অবস্থানের শীর্ষে রয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়-পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। গবেষণায় নির্ধারিত স্কোরিংয়ে যেখানে শীর্ষে থাকা মন্ত্রণালয়টি তিনটি ৪২ স্কোর পেয়েছে, যার শতকরা হার ৮৪ শতাংশ; সেখানে নির্বাচন কমিশন ৩০ নম্বর ক্রমিকে থেকে পেয়েছে ১৩ স্কোর, যার শতকরা হার ২৬ শতাংশ। সর্বনিম্ন স্কোরের ক্রমিক নম্বর হচ্ছে ৩৭।

টিআইবির গবেষণা বলছে, স্কোরিং ৬৬ শতাংশের উপরে হলে ভূমিকা সন্তোষজনক। ৩৪ থেকে থেকে ৬৬ শতাংশ স্কোর হলে তথ্য প্রকাশের ভূমিকা অপর্যাপ্ত। আর শূন্য থেকে ৩৩ শতাংশের মধ্যে স্কোর হলে ভূমিকা উদ্বেগজনক। অর্থাৎ জনগুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হলেও নির্বাচন কমিশনের স্বপ্রণোদিতভাবে তথ্য প্রকাশের ভূমিকা উদ্বেগজনক।

টিআইবির পরিচালিত গবেষণার বিষয়বস্তু হচ্ছে-তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ চর্চার মূল্যায়ন।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২১
ইইউডি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।