ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বর্ণ-রৌপ্য গলানো ধোঁয়ায় হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বর্ণ-রৌপ্য গলানো ধোঁয়ায় হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করে অবাধে কারখানা খোলা রেখে এসিড দিয়ে স্বর্ণ, রোপা গলানো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। শহরের কালাইশ্রীপাড়া এলাকায় শ্রী গণেশ গোল্ড অ্যান্ড সিলভার রিফাইনারিসহ একাধিক কারখানায় অবাধে চলছে এ কাজ।

এতে করে বিষাক্ত ধোঁয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চলে এ কাজ। বাইরে তালাবদ্ধ থাকলেও ভেতরে চলে কার্যক্রম। মাঝে মাঝে প্রশাসনের তৎপরতা দেখলে কিছুক্ষণের জন্য কারখানা বন্ধ করে গা ঢাকা দিলেও ফের চলে তাদের কাজ। এতে করে করোকালীন মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে চলেছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, কারখানাটির ছাদের উপরে একাধিক মোটা পাইপ দিয়ে এসিড নিঃসৃত বিষাক্ত ধোঁয়া বের করে দেওয়া হয়। এতে আশপাশের ভবনের ভেতরে নিয়মিত ধোঁয়া প্রবেশ করছে। মহামারি করোনায় যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন এর বিষাক্ত ধোঁয়া নাকে মুখে প্রবেশ করায় শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিকবার অভিযান চালালেও উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

অভিযোগ রয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাই র্স্বণ এখানে এনে গলানো হয়। ইতোমধ্যে আশপাশের দোকান থেকে চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সাধারণ লোকজনের দাবি, বিষাক্ত ধোঁয়া বের হওয়া কারখানাটি জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে লোকবসতি যেখানে কম এমন স্থানে স্থান্তান্তর করা হোক। এ বিষয়ে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফাইজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি হলেও র্দীঘমেয়াদী বিষাক্ত এই ধোঁয়ার প্রভাবে মানুষের শরীরে ক্যানসারের মত জটিল রোগও হতে পারে।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বর্ণ শিল্প ও জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনিক, বিষাক্ত ধোঁয়া বের হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে জনবহুল এলাকায় এ ধরনের কারখানা স্থাপন করা যায় কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, তাদের একাধিবার নোটিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, অগাস্ট ০১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।