বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চল থেকে পোশাক শ্রমিকদের রাজধানীতে পৌঁছার সুবিধার্থে শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যার পর বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। যে সিদ্ধান্তে রোববার (০১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত বাস ও লঞ্চ চলাচল করতে পারবে বলে জানানো হয়।
তবে সরকারি নির্দেশনার পরও যাত্রী না হওয়ার অযুহাতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। যদিও রাত ৮টার পর বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনালে থাকা সাতটি লঞ্চ ঘিরে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়।
পর্যাপ্ত যাত্রী না হলে লঞ্চ ছাড়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন অ্যাডভেঞ্চর লঞ্চ কোম্পানির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন।
এছাড়া বিলাসবহুল সুরভী লঞ্চের পরিচালক রিয়াজুল কবির বলেন, প্রশাসন থেকে লঞ্চ ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও, তাদের কোম্পানির লঞ্চ চালাতে দুজন প্রথম শ্রেণির সুকানি, দুজন সারেং এবং দুজন গ্রিজারসহ আরও কিছু লোক দরকার। কিন্তু ওই মুহূর্তে লঞ্চে সেই সংখ্যক লোক ছিলো না।
অপরদিকে অন্য লঞ্চের স্টাফরা বলছেন, একটি লঞ্চ ঢাকা যেতে ৬০ থেকে ৭০ ব্যারেল তেল দরকার হয়। যাত্রী না হওয়ায় লোকসান দিয়ে লঞ্চ চালাতে কেউই রাজি হয়নি।
এদিকে রাতেই বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথমেই বিএমএফ পরিবহনের বাস ঢাকাগামী যাত্রীদের নিয়ে এ টার্মিনাল ত্যাগ করে।
যদিও পরিবহন শ্রমিকরা বলছে, পোশাক কারখানা খোলার নির্দেশনা দেওয়ার পর শনিবার সকালে যদি সরকার বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত দিত, তাহলে হাজার হাজার মানুষকে ট্রাকে করে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় যেতে হতো না। বাস চলাচল শুরু হওয়ার পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ছিলো তাদের।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাসরেক বাবলু বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে কিছু বাস রাতেই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২১
এমএস/আরএ