ঢাকা: রোববার থেকে শুরু হচেছ শোকের মাস আগস্ট। এই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, অবিসংবাদিত নেতা।
সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল খুনিদের হাতে হত্যার শিকার হন।
’৭৫-এর ১৫ আগস্ট খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।
আবার এই শোকের মাসেই আরেকটি নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনার জন্ম হয়। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
শোকের এই মাস আগস্টকে যথাযথ মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ভয়াবহ কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও সীমিত পরিসরে শোকের কর্মসূচি পালিত হবে। ঘোষিত কর্মসূচি সীমিত পরিসরে কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে পালনের জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২১
এসকে/এসআইএস