ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল

লালমনিরহাট: ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে মারধর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন ইমদাদুল হক নামে এক ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামের তরিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় বড়খাতা বাজারে পার্টস (যন্ত্রাংশ) বিক্রেতা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বড়খাতা বাজারে তার পার্টসের দোকানের পাশে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক। হঠাৎ সেখানে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন গ্রাম পুলিশ গিয়ে উপস্থিত হন। তারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের নির্দেশে ব্যবসায়ী এমদাদুল হককে জোরপূর্বক ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ তাকে মারধর করে জমির ১০টি দলিলে (স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বড়খাতা বাজারে ব্যবসা করতে দেবে না বলেও প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় এমদাদুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে চেয়ারম্যানকে প্রধান অভিযুক্ত করে তিনজন গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একইভাবে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরেও অভিযোগ দায়ের করে বিচার দাবি করেন ওই  ব্যবসায়ী।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, এমদাদুল হকের বাড়ি আমার পার্শ্ববর্তী ফকিরপাড়া ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসুস্থ হওয়ায় এমদাদুলের সঙ্গে তার ভাইদের জমিজমা নিয়ে একটি বিবাদের মীমাংসা করে দিয়েছি মাত্র। মারধর এবং জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।  

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। লিখিত অভিযোগটি এখনও হাতে পৌঁছেনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।