ভোলা: পূর্ণিমার জোয়ার এবং লঘু চাপের প্রভাবে ভোলায় মেঘনার পানি বেড়েছে। এতে জোয়ারে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, পূর্ণিমার প্রভাব তার ওপর আবার নতুন করে লঘু চাপের প্রভাবে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলার কর্মকর্তারা। তবে জোয়ারে লোকালয়ে পানি ঢুকলেও ভাটায় পানি নেমে যায় বলে তারা জানান।
মেঘনার জোয়ারে প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে সদরের নাছির মাঝি, মনপুরার চরনিজাম, কলাতলীর চর, চরযতিন, চরজ্ঞান, চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চরপাতিলা, মাঝেরচর, চরশাহজালাল, কচুয়াখালীরচরসহ বিশচর প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব এলাকার অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দা।
চরপাতিলা থেকে ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জোয়ারের পানিতে ফসলের ক্ষেত, খাল, বিল ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।
কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৩ জুলাই থেকে প্রতিদিন পানিতে কুকরি-মুকরি ও চরপাতিলার বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাত হাজার মানুষ।
ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা এরশাদ ফরাজি বাংলানিউজকে বলেন, জোয়ারের পানিতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে, তবে পানির চাপ কিছুটা কম। দুই শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। বাঁধের বাইরের এসব মানুষ গত এক সপ্তাহ ধরে কস্টে দিন কাটাচ্ছেন।
পাউবো ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, পূর্ণিমা এবং লঘু চাপের প্রভাবে মেঘনার বিপৎসীমায় প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন তেমন ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
এসআরএস