ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কঠোর ‘লকডাউনে’ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২১
কঠোর ‘লকডাউনে’ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ভিড়

মাদারীপুর: কঠোর ‘লকডাউন’ চললেও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ভিড় কমেনি। অথচ কঠোর ‘লকডাউনে’ যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার কথা ছিল।

 

‘লকডাউনে’র ষষ্ঠ দিনে বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকেই নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।  

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় থ্রি-হুইলার এবং মোটরসাইকেলে চেপে সাধারণ যাত্রীরা শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে চলে আসেন। এরপর ফেরিতে উঠতে আর বাঁধা থাকে না তাদের। যাত্রী ভাড়া ২৫ টাকা দিয়ে অনায়াসেই ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা।  

বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে সাধারণ যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় সরকার। ‘লকডাউনে’র দ্বিতীয় দিন থেকে যাত্রীদের পারাপার কম দেখা গেলেও ষষ্ঠ দিনে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। ‘লকডাউনে’ অন্য দিনের তুলনায় বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রাজধানীগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি দেখা গেছে। এ কারণে এ নৌপথে গত দুদিনের তুলনায় ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হয়। বর্তমানে এ নৌপথে চারটি রো রো ও তিনটি কে-টাইপ ফেরি চলাচল করছে। এ ফেরিগুলোতে যানবাহনের পাশাপাশি টিকিট কেটে সাধারণ যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে।

বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামিল আহমেদ বলেন, সকাল থেকে নৌরুটে সাতটি ফেরি চলছে। সকাল থেকে যাত্রীর ভালো চাপ থাকলেও বিকেলে কমে গেছে।  

‘লকডাউনে’ সাধারণ যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ফেরিতে যাত্রী বহন করা না করার দায়িত্ব আমাদের নয়। ঘাটের ইজাদার টিকিট কাটে। তারাই যাত্রী ওঠায়-নামায়। পুলিশ তাদের বাধা দিতে পারে। ইজারাদার আমাদের নিয়ন্ত্রণে নয়।

এদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে প্রতিটি ফেরির নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। এ কারণে ঘাটে এসে পারাপারের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থাকতে হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঘাটে ছোট যানবাহনের বেশ চাপ। ঘাটের সংযোগ সড়কে পারাপারের অপেক্ষায় আছেন গাড়িগুলো। ঘাটের টার্মিনালেও প্রায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। ঘাটের চারটি পন্টুনে পদ্মা পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছেন ঢাকামুখী যাত্রীরা। এসব যাত্রী মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র বা অটোরিকশায় করে ঘাটে আসছেন কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই।

ঢাকাগামী যাত্রী বজলুর রহমান বলেন, বরিশাল থেকে ভেঙে ভেঙে ঘাটে এসেছি। সকালে রওনা দিয়েছি। দুপুরে ঘাটে এসে পৌঁছাই। ফেরিতে উঠতে সমস্যা হয় নাই।

বাংলাবাজার নৌপুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বুধবার সকাল থেকে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। গাড়ির চাপ তেমন নেই। যাত্রীরা বেশির ভাগই ঢাকামুখী। ঢাকা থেকে কম আসছেন। ফেরিঘাটে আসা মানুষ ঠেকানো যাবে না। কারণ ঘাটে মোবাইল কোর্ট নাই, পুলিশের জনবল কম। তাই ফেরি এসেই হুড়োহুড়ি করে উঠে পড়েন যাত্রীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।