ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘টিকা নিয়ে ভীতি কাটছে, তবে গ্রামে কেউ টেস্ট করাতে চায় না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
‘টিকা নিয়ে ভীতি কাটছে, তবে গ্রামে কেউ টেস্ট করাতে চায় না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: গ্রামে এখনো কেউ করোনা টেস্ট করাতে চায় না। তবে টিকা নিয়ে মানুষের অহেতুক ভীতি কেটে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

করোনা টেস্ট করানোর গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের ভালো চিকিৎসা, নিজে বাঁচতে ও অন্যদের সংক্রমিত না করতে করোনা টেস্ট করাটা জরুরি।

তিনি বলেন, একটা সমস্যা এখনো আছে যেটা আমি গ্রাম থেকে খবর পাই কেউ পরীক্ষা করতে চায় না, টেস্ট করতে চায় না। তাদের ধারণা টেস্ট করলে করোনা আছে এটা শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, তার সঙ্গে মানুষ মিশবে না। এ ভয়ে করে না। কিন্তু এটা তো ঠিক না।

শেখ হাসিনা বলেন, টেস্ট করলে তার যে চিকিৎসাটা হবে, সে যে ভালো হবে, সে অন্য কাউকে সংক্রমিত করবে না, সে নিজে বাঁচবে, অন্যকে বাঁচাবে। এ ধারণাটা মানুষের মধ্যে দিতে হবে। এটা আমাদের কর্মীরা যেখানে আছে তাদেরও বলে দেওয়া আছে। মানুষের কাছে এ বার্তাটা পৌঁছে দিতে হবে।  

টিকা নিয়ে মানুষের ভীতি কেটে যাচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের ভেতরে একটা আতঙ্ক ছিল, ভয় ছিল টিকা নিলে কী হবে, টিকা নিলে অনেক কিছু হয়ে যাবে, নানা রকমের একটা ভীতি ছিল। এখন আস্তে আস্তে সবার সেই ভীতি কেটে যাচ্ছে।

‘আমরা যদি এখন (সবাইকে) টিকা দিয়ে দিতে পারি তাহলে তো কোনো চিন্তা নেই। তখন করোনা হলেও বেশি ক্ষতি হবে না।

সবার জন্য টিকা ব্যবস্থা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের টিকার ব্যাপারে যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে আমরা ক্রয় করছি। তার জন্য আলাদা টাকাও রাখা আছে। প্রয়োজনে আরও টাকা আমরা খরচ করবো। কিন্তু বাংলাদেশে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ যারা টিকা নিতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মোতাবেক সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের কিন্তু ১ কোটি ৮৭ লাখের কাছাকাছি টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে আমরা আরও টিকা দিচ্ছি। একেবারে গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। সেখানে সবাইকে যে রেজিস্টেশন করতে হবে তা না, তারা আইডি নিয়ে সরাসরি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ওখানেই নিতে পারবে, সেই ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে বলবো নিজেদের একটু সুরক্ষিত থাকা দরকার।

টিকা রেজিস্ট্রেশনসহ টিকাদান কার্যক্রমে মানুষকে সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি বলবো স্বেচ্ছাসেবক লীগের ছেলে-মেয়ে যে যেখানেই থাকুক, মানুষকে একটু সহযোগিতা করা, সাহায্য করা, যেটা আমরা অতীতেও করেছি এটা সবাই করবা। সবাই যাতে টিকাটা নিতে পারে।

তিনি বলেন, তোমরা (আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী) অতীতে যেভাবে মানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছো এটা অব্যাহত রাখো। মনে রাখবে এটাই হচ্ছে আদর্শ, এটাই আমাদের কাজ। এটাই জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতারা গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।