ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সোনামসজিদ বন্দরের শ্রমিকদের টিকাদান শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
সোনামসজিদ বন্দরের শ্রমিকদের টিকাদান শুরু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: করোনার সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কঠোর লকডাউন চললেও জেলা শহর ছাড়া কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন বালায় নেই। এ পরিস্থিতির মধ্যেও সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও আবারও বাড়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্যবিভাগ।

বিশেষ করে শিবগঞ্জ উপজেলার আম বাজার ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ বন্দর থাকায় এ নিয়ে প্রশাসনের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বেগ পেতে হচ্ছে। বন্দরে কর্মরর্তরা ঝুঁকি নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। যদিও বন্দরে জনবল অর্ধেকে নামিয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বন্দর সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোনামসজিদ বন্দরে ভারত বাংলাদেশ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার লোকের চলাচল থাকায় বন্দর সংশ্লিষ্টরা ছিল ঝুঁকিতে। তাই ভারতীয় সীমান্তবর্তী এই এলাকায় ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বন্দরে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে থেকে ৫শ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনব্যাপী পানামা পোর্ট লিমিটেডের কার্যালয়ে অস্থায়ী বুথ স্থাপন করে তাৎক্ষণিক শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের মধ্য থেকে ৫শ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে বন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।  

এ সময় পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়রা খানসহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি টিকা দেওয়ার পরও মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বন্দর সংশ্লিষ্টদের।

এ সময় শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান জানান, বন্দরে ১৬১২ জন শ্রমিক কর্মরত। যাদের সবাইকে টিকার আওতায় আনা হলে একদিকে যেমন বন্দরে কাজের গতিশীলতা বাড়বে, তেমনি শ্রমিকরাও নিরাপদে থাকবে। এজন্য তিনি বন্দর কর্তৃপর্ক্ষ ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।

অপরদিকে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে বন্দরে জনবল কিছুটা কমানো হয় যেন বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানানো যায়। বন্দরের পক্ষ থেকে নজরদারী করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। বন্দর অভ্যন্তরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে বন্দরের কার্যক্রমে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও বন্দরের কেউ এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়নি। তবে বন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে টিকার আওতায় আনা গেলে একদিকে যেমন বন্দরে কাজের গতিশীলতা আসবে, অন্যদিকে সরকারের এ দুর্যোগ মুহূর্তে রাজস্বের চাকাও সচল থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad