ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উপজেলা হলো কক্সবাজারের ঈদগাঁও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
উপজেলা হলো কক্সবাজারের ঈদগাঁও

কক্সবাজার: কক্সবাজারের ঈদগাঁহকে উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে জেলার আট উপজেলার সঙ্গে যুক্ত হল আরও এক।

এ নিয়ে কক্সবাজারে এখন ৯টি উপজেলা। এর পাঁচ ইউনিয়ন হচ্ছে, ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও পোকখালী।  

কক্সবাজার সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে ‘ঈদগাঁও উপজেলা’ অনুমোদন দেওয়ায় কক্সবাজার-৩(সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এর আরও একটি স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (২৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় ঈদগাঁওকে উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়।  

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেছেন, র্দীঘ পঞ্চাশ বছর ধরে কক্সবাজার সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঈদগাঁও উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ অবহেলিত ছিল। শুধু ঈদগাঁওকে উপজেলা করতে পারিনি বলেই আমরা সেখানে কোনো সরকারি হাসপাতাল করতে পারিনি, কোনো উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজকে সরকারি করতে পারিনি।  

ফায়ার স্টেশন স্থাপন করতে না পারায় প্রতি বছর ঈদগাঁহ বাজার, ফকিরা বাজার, মুসলিম বাজার, পালাকাটাসহ এই এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়ি আগুনে পুড়তে দেখেছি। তাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সেই ২০১৪ সাল থেকে সংসদে যতবার বক্তব্য রেখেছি, ততবার আমি প্রধানমন্ত্রীর সামনে স্পীকারের কাছে ঈদগাঁওকে উপজেলায় উন্নীত করতে জোরালো দাবি জানিয়ে এসেছিলাম। আজ সেই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হল।

এমপি কমল আরও বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচন ২০১৮ এর আগে ঈদগাঁও হাইস্কুল ময়দানে হাজার হাজার জনতার সামনে দু’হাত তুলে কথা দিয়েছিলাম, যদি ঈদগাঁওকে উপজেলায় রূপান্তর করতে না পারি, আর কোনোদিন আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসবো না। এর পরে ২০১৯ সালে ঈদগাঁহ এলাকার নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঈদগাঁওকে উপজেলায় রূপান্তরের দাবি জানিয়েছিলাম। সেদিন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সম্মতিসূচক কথা বলেছিলেন। এরপরে লিখিত আবেদন জানিয়ে ছিলাম, সেই লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকে প্রধানমন্ত্রী ঈদগাঁওকে উপজেলায় রূপান্তরের অনুমোদন দিয়েছেন। পঞ্চাশ বছর ধরে এই এলাকার অবহেলিত মানুষ তথা কক্সবাজারবাসীর পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।  

এটি কক্সবাজারবাসীর জন্যে দারুন সুখবর। র্দীঘ পঞ্চাশ বছর ধরে ঈদগাঁও’র তিন লক্ষাধিক অবহেলিত মানুয়ের স্বপ্ন ছিলো ঈদগাঁহকে উপজেলায় বাস্তবায়নের। উপজেলা ছিল না বলেই ঈদগাঁও এলাকার কৃষকদের সার, বীজ সংগ্রহসহ সরকারি প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার জন্য দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার দূরে যেতে হতো। যোগ করেন তিনি।

এখানকার লবণচাষিদের সুবিধার্থে ঈদগাঁও লবণের হেড কোয়ার্টার হবে এবং ঈদগাঁওকে বাণিজ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানিয়ে 
সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, সম্প্রতি আমি যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিলাম। তখনও আমি বলেছিলাম, আমার কয়েকটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। জানিনা এ স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবো কিনা।  

আমার প্রথম স্বপ্ন ছিলো- ঈদগাঁওকে উপজেলায় রূপান্তর করা। আজ তা পূরণ হল। এবার কক্সবাজার শহরে শত কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বনন্দিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ, কক্সবাজারে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কক্সবাজার পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীতকরণ, রামুতে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নই হবে আমার লক্ষ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
এসবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।