গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ওই এলাকার অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ গাছপালা ব্রহ্মপুত্র নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে একটি আদর্শ গ্রাম, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মসজিদ, একটি ঈদগাঁ মাঠসহ কয়েকশ পরিবারের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি।
সরেজমিনে পিপুলিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গৃহহীন মানুষগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন উঁচু ফাঁকা স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। হুমকির মুখে পড়া পরিবারগুলো যতটা সম্ভব বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র ও গাছপালাসহ সম্ভাব্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো পার্শ্ববর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। চোখের সামনে ব্রহ্মপত্রের বুকে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। কিন্তু নিরুপায়ের মত দেখে যাওয়া ছাড়া আমাদের কিছুই করার নাই। যাদের করার আছে তারা কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ তাদের।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত জরুরি। তা না হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পিপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি সেন্টার স্কুল, পিপুলিয়া সরকারি আদর্শ গ্রামসহ পিপুলিয়া গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মণ্ডল জানান, নদীভাঙনে গৃহহীন পরিবারগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মাঝে জিআর ও ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় নগদ টাকাসহ চাল বিতরণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, ভাঙন রোধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
আরএ