কক্সবাজার: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে কীটনাশক পান করে এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৭) আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) দিনগত রাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর শনিবার (২৪ জুলাই) ভোরে কীটনাশক পান করে নিজ বাড়িতেই আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী।
মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীর ইউনিয়নের পাশের ইউনিয়নের মকছুদ আহমদের ছেলে কাসেমের সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেয়েটির। শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা-মা পাশের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়েটিকে তার প্রেমিক কাসেমসহ স্থানীয় আরও দুই বখাটে যুবক কৌশলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি মাছের ঘেরের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ওই প্রেমিক কাসেমসহ আরও দুই বখাটে আলমগীর ও রবিউল আলম ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি জানতে পেরে ওই বখাটে যুবকদের ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে রাতেই ছেড়ে দেয় ও মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, রাতে ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের সদস্যরা বকাঝকা এবং মারধর করেন। পরে শনিবার ভোর রাতে ওই ছাত্রী অপমানে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক কাসেম ও তার দুই সহযোগী বখাটে আলমগীর ও রবিউল আলম পলাতক রয়েছেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) কানন সরকার বাংলানিউজকে জানান, ওই ছাত্রীর বাবা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় এলে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
এসবি/এএটি