ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের তৃতীয় দিনও বর্জ্য অপসারণ করছে ডিএনসিসি

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
ঈদের তৃতীয় দিনও বর্জ্য অপসারণ করছে ডিএনসিসি

ঢাকা: ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনও বর্জ্য অপসারণ করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এদিন কোরবানি হওয়া পশুর বর্জ্য অপসারণেও নিয়োজিত আছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী।

বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে সড়ক, লেক, ড্রেন ও খালের মতো স্থানও।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন। অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান এদিনও পশু কোরবানি করে থাকেন। আর সেজন্য এদিনও বর্জ্য অপসারণে পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে ডিএনসিসির।

বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সংস্থাটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আজও ডিএনসিসির সাড়ে ১১ হাজারের বেশি (১১ হাজার ৫০৮ জন) কর্মী বর্জ্য অপসারণে বিশেষ অভিযানে নিয়োজিত আছে। নিয়মিতভাবে বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি তারা এদিন সড়ক, লেক, ড্রেন ও খালের মতো স্থানেও কাজ করছে। আমরা যতোই বলি অনেক নগরবাসীই নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেন না। সেই কোরবানির বর্জ্য সড়কে থাকে, ড্রেনে গিয়ে মেশে, সেখান থেকে খালে। কাজেই এসব জায়গায়ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করতে হচ্ছে।

নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি কোথাও বর্জ্য থাকার তথ্য বা অভিযোগ দিলে সেখান থেকেও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ডিএনসিসি আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডের সমগ্র এলাকা থেকে ১৫ হাজার ৭৩৩ মেট্রিক টন পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহার প্রথম দিনেই ডিএনসিসি এলাকায় তিন লক্ষাধিক পশু কোরবানি হয়। এসব পশু থেকে উৎপন্ন প্রায় ১১ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন বর্জ্য প্রথম দিন ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে দিনগত রাত ১২টার মধ্যেই অপসারণ করা হয়। তবে পশু কোরবানির জন্য ডিএনসিসি ২৭২টি স্থান নির্ধারণ করে দিলেও সেখানে কোরবানি হয় মাত্র ৪ হাজার ১৪১টি।

ডিএনসিসি নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হলে বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হতো বলে দাবি ছিল মেয়র আতিকের। আগামীতে এ বিষয়ে নগরবাসীর আরও সচেতনতার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনও পশু কোরবানি হওয়া স্থানগুলো ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলনের মতো জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
এসএইচএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।