ঢাকা: গেল কয়েকদিনের তুলনায় ঢাকা শহর বেশ ফাঁকা। তাই তো হওয়ার কথা।
প্রতিবছরের মতো এবারো রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসে কোরবানির মাংস বিক্রি করছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। আর তাদের ক্রেতারাও নিম্ন আয়ের। বাজারের কিংবা কসাইয়ের দোকানের তুলনায় তাদের এখানে দামও অনেক কম।
বুধবার রাজধানীর কাওরানবাজার রেল গেট, তেঁজতুড়িবাজার, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা এখানে মাংস বিক্রি করছেন তাদের বেশিরভাগই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করেছেন। এর বাইরে মৌসুমি কসাইয়ের কাজ যারা করেছেন তারাও এসব জায়গায় মাংস বিক্রি করছেন।
কাওরানবাজার রেল গেটের পাশে কথা হচ্ছিল তানভীরের সঙ্গে। তানভীর বলেন, আমি একটা হার্ডওয়ারের দোকানে কাজ করি। টুকটাক ইলেকট্রিকেরও কাজ করি। প্রতিবছর কোরবানি ঈদের দিন কসাইয়ের কাজ করি। এবার মগবাজার এলাকায় তিনটি গরু বানাইছি। সেখান থেকে গরুর মাংস দিছে। সেটাই বিক্রি করছি।
কথা হলো মৌসুমি কসাই ডিউকের সঙ্গে। তার কাছে ছিল কেজি দশেক মাংস। তিনি বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চারটা গরু কেটেছি। সেখান থেকে ভাগে এই মাংস পেয়েছি। বাড়তি কিছু টাকার জন্য এখানে বিক্রি করতে এসেছি। বিক্রি করে রাতে বাড়ি যাবো।
বাডি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করে পাওয়া ৩ কেজি মাংস বিক্রি করতে এসেছেন মুন্নী আক্তার। তিনি বলেন, বিভিন্ন বাসা থেকে এ মাংস পেয়েছি। কিছু পোলাপানের জন্য রাখছি। বাকিগুলো বিক্রি করে দিবো।
খিলগাঁও ব্রিজের নিচে মাংস বিক্রি করছিলেন ফকিরাপুলের মমিনুল। তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদের দিন কসাইয়ের কাজ করে এখানে এনে মাংস বিক্রি করি। কসাইয়ের কাজেও পয়সা আসে। আবার মাংস বিক্রি করেও বাড়তি টাকা কামাতে পারি।
শুধু ঈদ ও তার পরের দিনের এ হাটের ক্রেতারাও নিম্ন আয়ের মানু্ষে। অন্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে মাংস পেয়ে সন্তুষ্ট তারাও।
পুর্ব রাজাবাজার থেকে কম দামে মাংস কিনতে পেরে সন্তুষ্ট হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, আমার সামর্থ্য নেই গরুর গোস্ত কেনার। সবার বাসায় গোস্ত রান্না হচ্ছে, আমার বাসায় হচ্ছে না। এজন্য পোলাপাইনের মন খারাপ। তাদের জন্যই কম দামে গোস্ত কিনতে এসেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২১
ডিএন/কেএআর