ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

এক টুকরো মাংসের অপেক্ষায়!

শফিকুল ইসলাম খোকন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৫২, জুলাই ২১, ২০২১
এক টুকরো মাংসের অপেক্ষায়! মাংসের অপেক্ষায়। ছবি: বাংলানিউজ

বরগুনা: কাটাকাটি শেষ হলেই খুলে যাবে গেট। বাইরে অপেক্ষমানদের মধ্যে শুরু হবে মাংস বিতরণ।

আর সেই মাংস নিতেই গ্রামসহ দূর-দুরান্ত থেকে শহরে আসা মানুষ রয়েছে অপেক্ষায়।  

এমন চিত্র দেখা গেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মরহুম সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর বাস ভবনের গেটে। এ চিত্র শুধু এখানেই নয় গ্রাম এবং শহরের প্রতিটি বিত্তবানদের ঘরে ঘরে এক টুকরো মাংসের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন গরিব অসহায় মানুষ।

বুধবার (২১ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের প্রধান উৎসব। কোরবানির ঈদের সকাল থেকে প্রতি বছরের মতো এ বছরও মাংসের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াবে এসব অসহায় মানুষ।

পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাথরঘাটা কলেজ গেট সংলগ্ন মরহুম সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর বাসভবনের সামনে অপেক্ষমান আব্দুর রহিম, শাহজাহানসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, আমরা গরিব মানুষ তাই বিত্তবানদের কাছে এসেছি যদি একটু মাংস পাই তা দিয়ে সন্তানদের নিয়ে এক বেলা খাব।

তারা আরো বলেন, কোরবানির ঈদের দিন অন্তত একবেলা সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।



গেটে অপেক্ষমান থাকা আ. বারেক বলেন, কেবল মাংস কাটাকাটির কাজ চলছে ভেতর বাড়িতে। তাই খোলা হচ্ছে না বাড়ির ফটক। ছোট গেটের সামনে একজন দাঁড়িয়ে আছেন যাতে বাইরের কেউ ভেতরে যেতে না পারে। কাটাকাটি শেষ হলেই গেট খুলে বাইরে অপেক্ষমানদের মাংস দেওয়া হবে।  

কালমেঘের ইউনিয়ন থেকে আসা সালেহা বেগম জানান, তাদের গ্রামে কোরবানি দেন খুব কম মানুষ। সেখান থেকে যেটুকু মাংস পাওয়া যায় সেটুকু দিয়ে একবেলাও ঠিক করে রান্না হয় না। তাই সকাল ৭টা থেকে মুখ চেয়ে আছেন ধনীদের।  

পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রভাষক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা গরু জবাই করে আনুষঙ্গিক কাজ করছি দুপুরের আগেই আমরা নিয়ম অনুযায়ী মাংস বিতরণ করব।

গোলাম সবুর টুলুর বাসভবনের দায়িত্বে থাকা সফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও কোরবানির দিন অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরণ করা হবে, ইতোমধ্যে দুটি গরু জবাই করা হয়েছে সাতশ মানুষের মাঝে মাংস বিতরণ করব।

পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন বলেন, পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সেজন্য আমি ব্যক্তিগত তরফ থেকে ইতোমধ্যে যেসব জায়গায় গরু জবাই দেওয়া হয়েছে ওইসব জায়গায় ব্লিচিং পাউডার দেওয়া শুরু করেছি। এছাড়াও মানুষকে সচেতন করছি যারা কোরবানি দিয়েছেন নিজের উদ্যোগে গরু জবাই করার জায়গায় পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।