ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন ২০২৫, ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ক্রেতারা দাম বলছে না বড় গরুর, চাহিদা বেশি ছোট-মাঝারির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৩, জুলাই ১৯, ২০২১
ক্রেতারা দাম বলছে না বড় গরুর, চাহিদা বেশি ছোট-মাঝারির ক্রেতারা দাম বলছে না বড় গরুর, চাহিদা বেশি ছোট-মাঝারির। ছবি: বাংলানিউজ

গাবতলী পশুর হাট থেকে: একদিন পরেই ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু কিনতে রাজধানীবাসী হচ্ছেন হাটমুখী।

কোরবানি পশু গরু, ছাগলের অভাব না হলে অন্যান্যবারের তুলনায় দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গরুর বাজার আগের মতোই রয়েছে। বড় গরুর দাম ঠিক ভাবে বলছেনা ক্রেতারা। হাটে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। গরুর খাবারের থেকে শুরু করে, বাজারে আনতে পরিবহন খরচ বেড়েছে।

সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত গাবতলি পশুরহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এ বাজারের অধিকাংশ গরুই ছিল বড় আকারের। এদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বাজারে ছিল ক্রেতার ভিড়। তবে মাঝে হালকা বৃষ্টিতে বিক্রি কিছুটা কমেছে। চলছে পুরোদমে বেচাবিক্রি।

ক্রেতারা অভিযোগও করে বলছেন, গরুর দাম বেশি অন্যান্যবারের চেয়ে। মো. রাশেদুল হাসান আমিন গরু কিনতে এসেছেন মোহাম্মদপুর থেকে। এক লাখ ৭০ হাজার টাকায় একটি ষাড় গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, গত কোরবানির ঈদে গরুর দাম এতোটা বেশি ছিল না। তবে যেহেতু কিনতে হবে আবার ঈদ কাছাকাছি চলে এসেছে তাই কিনতে হচ্ছে। গরু কিনেছি এক লাখ ৭০ হাজার টাকায়।

মনিপুর থেকে গাবতলী পশুর হাটে এসেছেন ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, বড় গরু গাবতলিতে প্রতিবছর পাওয়া যায়। এবার বড় গরু এসেছে একইসঙ্গে দামও বেড়েছে অনেক বেশি। তবে দরদাম যাই হোক গরু কিনতে হবে। কোরবানির তো আর দাম কম বেশি দেখিয়ে হয়না। পছন্দের পশু এবার কোরবানি দিব।

আলমডাঙ্গা থেকে আসা দুলাল বেপারী। তিনি বলেন, ১১টি গরু এনেছি। বিক্রি হয়েছে ৬টি। বাজারে যে অবস্থা বাকি গরু বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে বাড়িতে। এবার পরিবহন ভাড়া বেড়েছে অনেক। গত বছরে ট্রাকভাড়া ২৬ হাজার টাকা লেগেছিল। এবার ৩২ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া দিয়েছি। এতে খরচ বেড়েছে সে তুলনায় গরুর দাম বাড়েনি।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে গরু ব্যবসায়ী হেলাল খান ১৬টি গরু এনেছেন গাবতলী হাটে। রোববার বিকেলে গরু নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, আমরা চার জন মিলে ১৬টি গরু গাবতলীর হাটে এনেছি গতকাল। এখন পর্যন্ত কোনো গরু বিক্রি করতে পারিনি। ক্রেতারা বড় গরু বিক্রি করার মতো দাম বলছেন না। তিন লাখ টাকার গরুর দাম বলছে দেড় লাখ টাকা। আর দুই লাখ টাকার গরু দাম বলছে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। ভালো দাম না পেলে গরু ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে ১৩টি গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে এসেছেন মন্টু বেপারী। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) হাটে এসে এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ২টি গরু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। কিন্তু ক্রেতারা ঠিকমতো বড় গরুর দাম বলছেন না। গরু আনার খরচ এর সঙ্গে বেড়েছে গরুর খাবারের মূল্য। আমরা বেপারীরা সঠিক দামে গরু বিক্রি করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তবে তিন লাখ টাকার গরু তো আর এক লাখ টাকায় বিক্রি করবো না। বাধ্য হয়ে গরু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২১
এমএমআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।