ঢাকা: কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সহায়তার জন্য বর্জ্যের ব্যাগ দেওয়া হলে অনেক নগরবাসী সেগুলোতে মাংস ভরে ফ্রিজে রেখে দেন। যে উদ্দেশ্যে ব্যাগ দেওয়া অর্থাৎ বর্জ্য ফেলা সেটিই করেন না অনেক নগরবাসী।
রোববার (১৮ জুলাই) রাজধানীর ভাটারার সাইদ নগর পশুর হাট পরিদর্শনে আসেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। পরিদর্শন শেষে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা নিয়ে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রস্তুতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
এসময় মেয়র আতিক বলেন, আমরা চাই নগরবাসী যেন নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করেন এবং কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট ব্যাগে ফেলে সেগুলোকে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখেন। আমাদের গাড়ি এসে সেগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। এতে কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণ হবে। এরজন্য আমরা নগরবাসীদের ছয় লাখ ব্যাগ দিচ্ছি। যারা ব্যাগ পাননি আমাদের জানাবেন, আমাদের একটি হটলাইন নম্বর আছে – ০৯৬০২২২২৩৩৩, আমরা আপনাদের বাসায় গিয়ে ব্যাগ পৌঁছে দেব।
মেয়র বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, অনেকেই সেই ব্যাগে বর্জ্য রাখেন না বরং মাংস ভরে ফ্রিজে রেখে দেন। আর ময়লা ঠিকই রাস্তায় ফেলে রাখেন। অথচ ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে ময়লা ফেলার জন্য, মাংস ভরার জন্য না।
সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পশু কোরবানি করে বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়ার সেবা নিতে নগরবাসীদের আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও জানান আতিক। তিনি বলেন, আমাদের এক হাজার পশুর সক্ষমতা ছিল। আমি ভেবেছিলাম নগরবাসী এই সেবাটা এত বেশি নেবেন যে, আমাকে হয়তো হিমশিম খেতে হবে। কিন্তু তথ্য দেখলাম যে, ৫০০ পশুর বুকিং এসেছে যারা কোরবানি করা মাংস বাসায় ডেলিভারি নেবেন। তবে এটাও ভালো। অন্তত ৫০০ জন তো এবার এই সেবা নিচ্ছেন। আগামীতে আরও নেবেন।
এবারের ঈদ-উল-আযহায় প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে মোট ২৭০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য। কোরবানি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানী থেকে বর্জ্য অপসারণে অন্তত ১১ হাজার কর্মী নিয়োজিত থাকবে বলে জানান মেয়র আতিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
এসএইচএস/কেএআর