ঢাকা: ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু কেনাবেচায় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ হাতবদল হয়। জালিয়াতরাও সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
গাবতলীর গরু হাটের পরিচালক মো. রাকিব ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, জাল টাকা শনাক্তে হাটে ২০টি যন্ত্র বসানো হয়েছে। আমরা আশা করি কেউ জাল টাকা হাটে তোলার সাহস পাবে না। জাল টাকা ধরা পড়বে।
তিনি আরো বলেন, অনেক কষ্ট করে একজন গৃহস্থ ও ব্যাপারী হাটে গরু তোলেন। কেউ যদি জাল টাকার খপ্পরে পড়েন তবে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। এসব কথা বিবেচনা করেই ২০টি যন্ত্র বসানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া সদরের খাদেমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দেশে খারাপ মানুষের অভাব নেই। হাটে অনেকে জাল টাকা দিয়ে কোরবানির গরু কেনার চেষ্টা করে। তবে জালনোট ধরার মেশিন বসানোয় কেউ জালনোট দেওয়ার সাহস পায় না। আমরা নিরাপদে গরু বিক্রি করতে পারি।
গাবতলী গবাদি পশুরহাট পরিচালনা কমিটি সূত্র জানায়, গাবতলীতে মোট ৯০০ জন স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন। হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আছে ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার।
নদীপথে গাবতলী হাটে অনেক কোরবানির পশু আসে। এসব কথা বিবেচনা করে নদীপথেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে। হাটের প্রবেশদ্বারে র্যাব ক্যাম্প আছে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন অনুমোদিত ১৩টি এবং জেলা প্রশাসক অনুমোদিত ছয়টি মিলিয়ে রাজধানীতে মোট বৈধ হাট ১৯টি। এবছরই প্রথম প্রত্যেকটি হাটেই পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসানো হয়েছে জাল টাকা শনাক্ত করার যন্ত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২১
এমআইএস/এএ