ঢাকা: প্রতি ইউনিট আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা দামের হাই ফ্লো নজেল ক্যানুলা অনুদানে ঢাকাবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। একই সঙ্গে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের বাই প্যাপ এবং সি প্যাপ যন্ত্র অনুদানের ও অনুরোধ জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান আতিক। হাসপাতালে নিজ উদ্যোগে বাই প্যাপ যন্ত্র এবং হাই ফ্লো নজেল ক্যানুলা দান করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসময় আতিক বলেন, চার-পাঁচদিন আগে এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসে আমাদেরকে এসব যন্ত্রপাতির চাহিদার কথা জানান। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় মিনিটে ৮০ লিটার অক্সিজেন প্রবাহিত করতে পারে এমন হাই ফ্লো নজেল ক্যনুলা দরকার। এরপরই আমরা এগুলোর ব্যবস্থা করতে কাজে নামি। আমরা এখানে ৮টি হাই ফ্লো নজেল ক্যনুলা দিচ্ছি। ১৮টি বাই প্যপ মেশিন এবং এসব মেশিনের ৪০টি যন্ত্রাংশ দিচ্ছি। আমরা চাই নগরবাসীও যেন এগিয়ে আসেন। নজেলগুলোর দাম একেকটি আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। আর বাই প্যাপ, সি প্যাপ মেশিনের দাম একেকটি ৮০ থেকে ৯০ হাজার। অনেকের কাছেই এই টাকা কিছুই না। আমরা কোরবানির পশু কিনছি কিন্তু এদিকে মানুষ কোরবানি হয়ে যাচ্ছে। একটি ক্যানুলা দিয়ে একটি মানুষ বাঁচানো সম্ভব। পুরো দেশের মানুষের চিকিৎসা হয় এই হাসপাতালে। তাই যারা দান করতে চান তারা কিনে সিটি কর্পোরেশনে দিতে পারেন।
বক্তব্যে কোরবানির হাটের তুলনায় অনলাইনে পশু কিনতে উৎসাহিত করেন। হাটে গেলেও মাস্ক পরাসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে আহ্বান জানান।
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, এই যন্ত্রপাতি গুলো এই হাসপাতালের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমাদের এটি এক হাজার শয্যার হাসপাতাল। ২১২টি আইসিইউ আছে। এখানে শুধু ঢাকা না বরং সারা দেশ থেকে রোগীরা আসছেন। গুরুতর অবস্থা যাদের তাদের কাউকেই আমরা ফিরিয়ে দেইনি। এখানেই চিকিৎসা দিচ্ছি। এমন ক্রান্তিকালে মেয়রকে বিষয়টি জানানো হলে দ্রুততার সঙ্গে এগুলো ব্যবস্থা করেন। এজন্য তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫,২০২১
এসএইচএস/এসআইএস