ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

যারা শিশু শ্রমিকদের নিয়ে এসেছে তাদের আইনের আওতার আনা হবে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১৫, জুলাই ১১, ২০২১
যারা শিশু শ্রমিকদের নিয়ে এসেছে তাদের আইনের আওতার আনা হবে  ...

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড কারখানা পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, শিশু শ্রমিকদের যারা এখানে কাজ করতে নিয়ে এসেছিলো তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।  

শুনেছি এই ভবনের একটি ফ্লোরে শ্রমিকদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

তালাবদ্ধের ঘটনা উদঘাটন করে এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ একটি প্রতিনিধিদল পুড়ে যাওয়া হাশেম ফুড কারখানা পরিদর্শন করেন।

এসময় মির্জা আজম বলেন, হাসেম ফুড কারখানায় যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৫২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এটি করো কাম্য নয়। তারপরও এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে গঠন করেছেন। সে কমিটির তদন্ত অনুযায়ী যারা দোষী হবে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। একই সঙ্গে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। যারা নিহত হয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য ২ লাখ টাকা ও আহতদের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও আহত শ্রমিকদের আরো সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য বিভিন্ন আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 
তিনি আরো বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদন নিয়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এ ক্ষেত্রে যদি কারো দুর্নীতি থাকে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমোবেদনা জানাই।  

এসময় তিনি আরো বলেন, এ কারখানায় কিভাবে শিশু শ্রমিকরা কাজ করতে আসলো।   
 
প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব, বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, উপজেলা শাহজাহান ভুইয়াসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ আগুন ২৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫২টি প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।