ঢাকা, রবিবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুন ২০২৫, ১৮ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি: কিশোরগঞ্জে ৮ শ্রমিকের বাড়িতে শোকের মাতম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৩, জুলাই ১০, ২০২১
রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি: কিশোরগঞ্জে ৮ শ্রমিকের বাড়িতে শোকের মাতম

কিশোরগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের ৮ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। এদের অনেকেই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করছে পরিবারের লোকজন।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের পূর্বকালিয়ারকান্দা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে নাজমুল (১৪) ও একই উপজেলার গাগলাইল গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী আছমা (৪৫), করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কুকিমাদল গ্রামের হারুন অর রশীদের মেয়ে মিনা আক্তার (২২) ও একই উপজেলার কদমতলা গ্রামের আবু বাক্কার (৪২) ও তার স্ত্রী জেসমিন (৩৫), কটিয়াদী উপজেলার ধুলদিয়া ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী অমৃতা আক্তার (২৫), একই এলাকার চান্দু মিয়ার মেয়ে রাবিয়া (১৮) ও বাচ্চু মিয়ার মেয়ে তাসলিমা (১৮)।

এদিকে শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের পুর্বকালিয়াকান্দা গ্রামের নাজমুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,  যারা বাড়িতে রয়েছেন তাদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। দিনমজুর চান মিয়ার ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র নাজমুল ইসলাম করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় কিছু বাড়তি আয়ের আশায় দুই মাস আগে বাড়ি থেকে ওই কোম্পানিতে শ্রমিকের চাকরি নেন। নাজমুলের ইচ্ছা ছিল করোনাকালে কিছু টাকা আয় করতে পারলে তার পরিবার ভালোভাবে খেয়ে পড়ে চলতে পারবে। এখন তার বাড়ির লোকজন নিহত নাজমুলের মরদেহ আনার জন্য নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে রয়েছেন।  

এছাড়াও শোকের মাতম চলছে নিখোঁজ ৩ জনের কটিয়াদী উপজেলার গ্রামের বাড়িতে। অপরদিকে, করিমগঞ্জ উপজেলার নিখোঁজ আরও তিন শ্রমিকের বাড়িতে একই অবস্থা। কেউ কেউ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের বাড়িতে এলাকাবাসী এসে ভিড় জমাচ্ছেন। স্বজনদের কেউ কেউ শান্তনা দিচ্ছেন।  

নিখোঁজ পরিবারের লোকজন জানান, যারা নিখোঁজ রয়েছেন তারা যদি মারা গিয়ে থাকেন অন্তত মরদেহ যেনো ফিরে পান।  

এদিকে স্থানীয় এলাকার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবিএম জালাল উদ্দিনসহ জনপ্রতিনিধিরা জানান, কারখানা মালিকের গাফিলতি ও গেট বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিকদের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের কঠোর বিচার ও নিহতের পরিবারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জোর দাবি জানাচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১ 
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ