ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কামরাঙ্গীরচরে চার্জার বিস্ফোরণ, স্ত্রীর পর মারা গেলেন স্বামী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
কামরাঙ্গীরচরে চার্জার বিস্ফোরণ, স্ত্রীর পর মারা গেলেন স্বামী

ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর আহসানবাগ এলাকার একটি বাসায় অটোরিকশার চার্জার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় স্ত্রীর পর মারা গেলেন অটোরিকশা চালক স্বামী আ. মতিন (৪০)।  

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।

তিনি বলেন, সকালে চিকিৎসাধীন আ. মতিনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাছাড়া শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল। আর শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী ময়না ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে  মারা গেছেন। তাদের দুই মেয়ে আয়শার শরীরে ৪৬ শতাংশ ও মায়শা ৪২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এখনও ভর্তি আছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর। ১৮ শতাংশ দগ্ধ রায়হানকে চিকিৎসা শেষে শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে আহসানবাগ সিলেটি বাজার কাজি গলিতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন, ইজি বাইক চালক আ. মতিন (৪০), তার স্ত্রী ইসয়াসমিন আক্তার ময়না (৩৫), দুই মেয়ে আয়শা (৬) ও মায়শা (১০) এবং ময়নার ভাগিনা আবুল খায়ের রায়হান (২৫)।

দগ্ধ রায়হান জানান, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করেন। ওই বাসায় তার মা থাকলেও তিনি অন্যখানে থাকেন। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দিনগত রাতে তিনি ওই বাসায় মায়ের কাছে গিয়েছিলেন। রাতে মতিনের পরিবারে একটি রুমে ও পাশের রুমে ছিলেন তিনি। শুক্রবার ভোরে যখন তারা সবাই ঘুমিয়েছিলেন, তখন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই ঘুম ভেঙে গেলে চারদিকে আগুন দেখতে পান তিনি। বিস্ফোরণে রুমের দরজাও ভেঙে গেছে। পরে তারা দৌঁড়ে বাসার বাইরে চলে যান। তবে এরআগেই তাদের শরীর পুড়ে যায়।

তিনি বলেন, মতিন প্রতিদিন বাসাতেই অটোরিকশা চার্জ করতেন। অটোরিকশাটি বাসার বাইরে রেখে তার চার্জার রুমের ভেতরে বিদ্যুতের সঙ্গে সংযোগ করতেন। সেই চার্জার থেকেই ভোরে বিস্ফোরণে ঘটে।  
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মতিনের শ্যালক মো. মাসুম জানান, খবর পেয়ে ভোরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রায়হান ছাড়া বাকি ৪ জনের অবস্থাই গুরুতর। বড় মেয়েটি একটি মাদরাসায় পড়তো। তাদের বাড়ি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
এজেডএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।